[email protected] সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
৮ বৈশাখ ১৪৩২

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেয়ে খুশি ভোলাহাটের বোরো চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:০৯

ছবিঃ আলোকিত গৌড়

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার বোরো চাষিরা। চলতি মৌসুমে সরকার সেচ পাম্পগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করায় কৃষকরা আগের চেয়ে দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্নভাবে সেচ দিতে পেরেছেন। সার, কীটনাশকের পর্যাপ্ততা, সেচব্যবস্থা এবং অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবার আশানুরূপ ফলন পাওয়ার আশা করছেন চাষিরা।

কৃষকরা বলছেন, আগের মতো বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে মাঝপথে সেচ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল না। এতে জমির ক্ষতি যেমন কমেছে, তেমনি রাত জেগে সেচ দেওয়ার কষ্টও কমেছে। সেচ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বোরো ধানের ভালো ফলনের আশা করছেন তারা। সেইসঙ্গে ধানের ন্যায্যমূল্য পেলেই কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে বলে মনে করছেন চাষিরা।

কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবার উপজেলায় বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন ধান।

উপজেলার বিলভাতিয়া, জাগলবাড়ি, ধরবান ও মধুপুর ঘুরে দেখা যায়, জমিতে ব্যাপক ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগবালাই কম থাকায় ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। এরই মধ্যে কিছু ধানক্ষেতে সোনালি রং ধারণ করেছে। কিছুদিন পরই পুরোদমে বোরো ধান কাটার ধুম পড়ে যাবে। কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কষ্টে উৎপাদিত সোনালি ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা।

জাগলবাড়ি বিলের চাষি মো. এহসান আলী জানান, "আগে এত ভালো বিদ্যুৎ সেবা কখনো পাইনি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়ায় জমিতে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করতে পেরেছি, ফলে ধানের গাছ ও শীষ ভালোভাবে বেড়েছে। এতে ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি।"

কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, "এবার সার ও কীটনাশকের কোনো সংকট ছিল না। এছাড়া এবার ধানের রোগবালাই প্রায় নেই বললেই চলে। এ কারণে ফলন ভালো হবে। সরকার যদি ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে, তাহলে আমরা লাভবান হব।"

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে গভীর নলকূপের সক্ষমতা বেড়েছে এবং পর্যাপ্ত পানি উঠছে বলে জানান গভীর নলকূপ অপারেটররা।

ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সুলতান আলী বলেন, "এই বছর কৃষি অধিদপ্তর, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যুৎ বিভাগ একসাথে কাজ করেছে। আশা করছি, গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে, যার ফলে কৃষকের খরচও কমেছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই কৃষকরা সোনালি ধান ঘরে তুলতে পারবেন।"

আলোকিত গৌড়/এম.আর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর