[email protected] বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২

লাউ চাষ লাভজনক হলেও রোগ বালাইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক

এম এ করিম

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০২

ছবি- আলোকিত গৌড়

লাউ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ সুস্বাদু উৎকৃষ্ট সবজি,যা ভিটামিন সি,এমাইনো অ্যাসিড,জিংক,লোহো এবং ম্যাঙ্গানিজ সহ ৯৬%পানি থাকলেও লাউয়ের পাতা ও কচি ডগা শাকের চাহিদা মিটিয়ে থাকে।

 

লাউ বাংলাদেশে প্রায়ই সব জায়গাই চাষের উপযোগী।লাউ দোঁয়াশ পলি-দোঁয়াশ মাটি এ চাষের জন্য বেশি উপযোগী।লাউ সারা বছরই চাষবাদে মোটামুটি উৎপাদন হয়।এতে করে দেশের চাহিদা অনুযায়ী বছরের যে কোন সময় তা কমবেশি পাওয়া যায়।লাউ অক্টোবর মাসের মধ্যে চারা রোপণের উপযুক্ত সময়।এবং বীজ বপনের ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে লাউ ফসল সংগ্রহ করে বাজারজাত করা যায়।

লাউ চাষে জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে মাচা সহ এ চাষে প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং শ্রমিক খরচ অনেকটাই সাধ্যের মধ্যে থাকে।এছাড়াও লাউচাষে প্রতি ৩৩ শতকে মাত্র ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ করে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা উৎপাদিত ফসল বিক্রি হাওয়াই অনেকেই ঝুঁকে পড়ছে এ লাউ চাষাবাদে।তবে এ চাষে অধিক লাভজনক হলেও লাউ উৎপাদনে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাকে বড় করে দেখছেন এ লাউ চাষীরা।

লাউ চাষে প্রথমত অ্যানথ্রাকনোজ নামক ছত্রাকের আক্রমণে কাণ্ড ফল প কুড়ি পচা রোগ হয়ে থাকে।এদিকে,পরাগায়নের অভাবে লাউ গাছের কুঁড়ি কমলা হলুদ লাল বর্ণের হয়ে ঝরে পড়ে।এছাড়াও মাছি পোকার আক্রমণে লাউ কুকড়ানো ভাঁজ ধরে এতে ফলন বৃদ্ধিতে ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হয়।

শুধু তাই নয়,এমন মাছি পোকার আল ফুটিয়ে আক্রমণে লাউ এর ভিতরের অংশে একপ্রকার লার্ভার সৃষ্টি হয়।এতে করে লাউ পচে যাই,এবং ঝরে পড়ে।আর তাই চাষীর চাহিদার তুলনায় লাউ ফসল অনেকাংশেই কমে যায়।ফলে চাষী ক্ষতিগ্রস্ত হয়,এতে করে লাউ চাষাবাদ অধিক লাভজনক হলেও এমন সমস্যাগুলোকে বড় করে দেখছেন এ চাষীরা।

আলোকিত গৌড়/জে.আর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর