বুধবার (২৬মার্চ ) সকাল সাড়ে ১০টায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় গরিব,অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের মাঝে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিতরণ করা হয়।
স্বপ্নপূরণ হেল্পলাইন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্যোগে ১৫০ জন দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৬মার্চ ) সকাল সাড়ে ১০টায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় গরিব,অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের মাঝে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিতরণ করা হয়।
স্বপ্নপূরণ হেল্পলাইনের সভাপতি খালিদ হাসান এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.মো: আব্দুস সামাদ।
এইসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন নাশিহা ফাউন্ডেশনের চেয়্যারম্যান হাফেজ গোলাম রাব্বানী, নাশিহা ফাউন্ডেশনের পিয়ার অফ মো: সেলিম রেজা, বিশিষ্ট সমাজসেবক আলী হোসেন প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, "আল্লাহ নেওয়ার চেয়ে দেওয়াকে বেশি পছন্দ করেন। আমরা চাই আপনাদেরকে কিছু সহায়তা দিতে। বিশেষ করে এখানে উপস্থিত মা-বোনদের বলছি, যদি আপনারা সেলাইয়ের কাজ শিখেন বা করতে পারেন, তাহলে আমরা আপনাদের সেলাই মেশিন দেবো। আমাদের লক্ষ্য হলো আপনাদের স্বাবলম্বী করে তোলা। আজ আমরা আপনাদেরকে সহায়তা করছি, ভবিষ্যতে আপনারা অন্যকে সহায়তা করবেন।"
বিশেষ অতিথি হাফেজ গোলাম রাব্বানী বলেন, "বাংলাদেশে প্রচুর সম্পদ রয়েছে, ধনী ব্যক্তিরা যদি নিয়মিত যাকাত আদায় করেন এবং তা সঠিকভাবে বণ্টন করা হয়, তাহলে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব। ইসলাম একটি সুন্দর সমাধান দিয়েছে—যাকাতের সঠিক বাস্তবায়ন। যদি সরকার যাকাত ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করে, তাহলে অসহায় মানুষের আর রাস্তায় ফিরতে হবে না।"
তিনি আরও বলেন, সাদাকা বালা-মুসিবত দূর করে এবং আল্লাহর রহমত বাড়ায়। তাই আমাদের সকলেরই এগিয়ে আসা উচিত।
১৫০ পরিবারের মাঝে প্রতি পরিবারকে ৮টি প্রয়োজনীয় জিনিস দেওয়া হয়:
আতব চাল (১ কেজি),সয়াবিন তেল (৫০০ মিলি)
চিনি (৫০০ গ্রাম),চালের আটা (৫০০ গ্রাম),নুডুলস (১ প্যাকেট),পাপড় (১ প্যাকেট),বুন্দিয়া (১ প্যাকেট),লাচ্চা সেমাই (১ প্যাকেট)
স্বপ্নপূরণ হেল্পলাইন-এর সদস্য ও উপদেষ্টাবৃন্দে সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় দরিদ্র ও অসহায় পরিবারগুলোর ঈদ আনন্দে অংশীদার হতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আলোকিত গৌড়/এফ.এ
মন্তব্য করুন: