চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কতৃক জেলা পর্যায়ে 'শিশু-কিশোর ইসলামীক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছে।
অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার উপজেলা পর্যায়েও এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ২য়, ৩য় থেকেও জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় তাদের উল্লেখ করা হয়নি। জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে ২য়, ৩য় স্থান অর্জনকারীদের নামের জায়গায় অন্যান্যদের নাম দেখতে পাওয়া যায়। এতে ক্ষুব্ধ হন অভিভাবকরা।
এব্যাপারে শহরের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান জাবালুন নূর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের তিনজন ছাত্রের জেলা পর্যায়ের তালিকায় নাম থাকার কথা, কিন্তু তাদের জায়গায় অন্য নাম দেখে উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা বরাবর অভিযোগ জানালেও কোনরকম সমাধান পায়নি। তাই আমরা এই প্রতিযোগিতা বর্জন করেছি।
আরেকজন অভিভাবক আল মারুফ বলেন, প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিবেশ ছিলো। যারা উপজেলা পর্যায়ে বিচারক ছিলেন তারাই আবার জেলা পর্যায়ের বিচারক হয়েছেন। এবং হামদ-নাতের প্রতিযোগিতায় একজন ইসলামিক শিল্পী বিচারক না রেখে সাধারণ একজন মসজিদের খাদেমকে বিচারক করা হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, প্রতিযোগিতায় সম্পূর্ণ স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী আব্দুল হাদি বলেন, আমি উপজেলা পর্যায়ে ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় ৩য় হয়েছিলাম, কিন্তু জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে এসে দেখি আমার নামের জায়গায় অন্যজনের নাম। আমি এই অনিয়মের বিচার দাবি করছি। এই অনিয়মের কারণে আমি পরবর্তী কোন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছি।
অপর এক প্রতিযোগি রিজওয়ানুল্লাহ বলেন, হামদ-নাতে উপজেলা পর্যায়ে আমি ২য় হওয়ার পরেও জেলা পর্যায়ে এসে দেখি আমার নাম নেই। এর বিচার দাবি করছি।
এবিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, যারা এই অভিযোগ করেছেন আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি আমরা এটা সমাধান করার চেষ্টা করেছি। এটা কম্পিউটারে কপি-পেস্ট করতে গিয়ে ভূল হয়েছে। কপি-পেস্ট করলে তিনটা নামই ভূল হওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু ২য় এবং ৩য় নামটি ভূল হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি 'এটা ভূল হয়েছে, এটা আমরা সংশোধন করে নিয়েছি। এটা কোন স্বার্থ বা প্রতিষ্ঠানকে উদ্দেশ্য করে করা হয়নি।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: