বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী ফরেস্ট ক্যাম্পের আওতাধীন টেপারবিলের গহীন অরণ্যে লাগা আগুন দ্বিতীয় দিনেও জ্বলছে। ইতোমধ্যে আগুনে তিন একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল সাতটায় আগুন লাগার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গহীন বনে প্রায় দেড় কিলোমিটার পানির পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে।
রাতভর বনকর্মীরা কাটা ফায়ার লাইন (নালা) তৈরি করে আগুন ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর চেষ্টা করেছেন।
রবিবার সকাল ৯টার মধ্যে আরও দেড় কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করে আগুন নেভানোর কাজ পুরোদমে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, “আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পরও মাটির নিচে মিথেন গ্যাস থাকায় মরা শিকড় ধরে আগুন আবার জ্বলে উঠতে পারে। তাই পুরোপুরি নিভতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে।”
অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) দ্বিতন চন্দ্র দাসকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৪ মে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার লতিফের শিলা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গত দুই যুগে সুন্দরবনে ২৬টি অগ্নিকাণ্ড হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নুরুল করিম জানান, “আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য বনকর্মীরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ ও আগুনের কারণ অনুসন্ধান চলছে।”
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে শরণখোলা, মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও কচুয়ার ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আজকের মধ্যে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে কি না, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: