খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদকে পদত্যাগ করতে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রোববার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন।
তারা জানান, ভিসি পদত্যাগ না করলে তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করবেন।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরদিন শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনসহ সব অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন।
সেই দিনই সিন্ডিকেট সভায় ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সকল রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনকে ‘লাল কার্ড’ দেখান এবং উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন। পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসে শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে ছয় দফা দাবিসংবলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি ছিল—সংঘর্ষে জড়িতদের বিচার, উপাচার্যের পদত্যাগ, শিক্ষা ও আবাসিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।
২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৩ এপ্রিল তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর ১৪ এপ্রিল রাতের সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সেই সঙ্গে জানানো হয়—২ মে থেকে হলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে,
৪ মে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর থেকেই আন্দোলন নতুনভাবে ঘনীভূত হয়।
রোববার দেওয়া ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বাস্তবায়িত না হলে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: