বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের প্রতিবাদে রাজশাহী কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজিত বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন নাম দিলেও এই কমিশন মূলত সমকামিতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে, ইহুদীবাদী খ্রিষ্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে।
শনিবার (২৬ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে কলেজের প্রশাসন ভবনের সামনে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তারা এইসব কথা বলেন। এসময় তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ, কিন্তু জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অধিকাংশ নীতি ইসলামী মূল্যবোধ বিরোধী। তাই আমরা একটি মুসলিম দেশে এইরকম নাপাক কমিশনকে স্থান দিতে পারি না। এ জমিনে শহীদ তিতুমীর, হাজী শরিয়ত উল্লাহ, শাহজাহান, শাহ মখদুমের মতো ব্যক্তিরা ছিলেন। এই পবিত্র জমিতে এই রকম নাপাক মানবাধিকার কমিশন থাকবে এটা মুসলিম হিসেবে আমরা কখনোই বরদাস্ত করবো না।
বক্তারা বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার মুসলিম দেশগুলোর জন্য কখনো কার্যকর হয় না। ফিলিস্তিন, সিরিয়া, কাশ্মীসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশে যখন মুসলিমদের উপর হামলা করা হয়, হত্যা করা হয় তখন এই মানবাধিকার কমিশন তাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সবসময় নিশ্চুপ ও ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। কিন্তু বিপরীতে কোনো অমুসলিমদের উপর হামলা হলে এই কমিশন তাদের জন্য সক্রিয় হয়ে কাজ করে। আমরা মুসলিম হিসেবে ঈমানের তাগিদে আজকে প্রতিবাদ জানাচ্ছি যাতে বাংলাদেশে এই সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে না দেওয়া হয়।
এসময় বক্তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা সরকারের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি এই সরকার যেন এই কমিশনের কার্যক্রম বাংলাদেশে স্থগিত করেন। যদি এই কমিশনের কার্যক্রম স্থগিত করা না হয় পরবর্তীতে আরো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে রাজশাহী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল আল মারুফ,
ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান, অর্থনীতি বিভাগের ৩ম বর্ষের শিক্ষার্থী তানিমসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচির শুরুতে কলেজের প্রশাসন ভবনের সামনে বক্তারা বক্তব্য রাখেন এবং পরবর্তীতে মিছিল নিয়ে কলেজের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করা হয়।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: