শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ঘেরাও করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। রোববার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় তারা মাউশি ভবনের সামনে জড়ো হয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্তও তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। মাউশি ভবনের সামনেই প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নিতে দেখা যায় শিক্ষক-কর্মচারীদের। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
প্রধান দাবি: শিক্ষা জাতীয়করণ
শিক্ষকদের প্রধান দাবি, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকে দ্রুত জাতীয়করণ করতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থার সকল স্তরে বৈষম্য দূর করে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা জাতীয়করণের ঘোষণা দিতে হবে।
তারা অভিযোগ করেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারি কর্মচারীদের মতো একই পরিশ্রম করলেও তাদের সুবিধা ও মর্যাদায় বৈষম্যের শিকার হতে হয়।
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নামে এক শিক্ষক বলেন, “সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাসের ১ তারিখেই বেতন পান। অথচ আমাদের বেতন আসে মাসের মাঝামাঝি সময়ে। কখন আসবে তাও বলা যায় না। এমনকি উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, বাড়ি ভাড়া—সব ক্ষেত্রেই আমরা বঞ্চিত।”
এর আগে জাতীয়করণ, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও অন্যান্য সুবিধার দাবিতে টানা ২২ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যান এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। গত মার্চের শুরুতে কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলেও দাবি আদায় না হওয়ায় আবারও তারা মাঠে নামলেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে বাধ্য হবেন তারা। সরকারকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষক নেতারা।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: