[email protected] রবিবার, ১ জুন ২০২৫
১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ দাবিতে ‘লং মার্চ টু সচিবালয়’ ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২৫, ১৪:০৯

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ দাবিতে ‘লং মার্চ টু সচিবালয়’ ঘোষণা-সংগৃহীত ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। দাবি আদায়ে আগামীকাল (১৯ মে) পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে পরে তা মানা না হলে ২১ মে (বুধবার) সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

সোমবার (১৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, “যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি না মানা হবে, ততদিন পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে। দাবি আদায় না হলে আগামী বুধবার দুপুর ১২টায় ‘লং মার্চ টু সচিবালয়’ অনুষ্ঠিত হবে।”

তিনি আরও জানান, দাবিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে বারবার আবেদন জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

আন্দোলনকারীদের ১১ দফা দাবি:
১. শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের লক্ষ্যে বাজেটে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দ (ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী)।
২. আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান।
৩. বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের ৬ষ্ঠ গ্রেডে ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ৭ম গ্রেডে বেতন স্কেলসহ টাইম স্কেল প্রদান।
৪. এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন বদলি প্রথা চালু।
৫. সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো পেনশন চালু এবং চালু না হওয়া পর্যন্ত ৬ মাসের মধ্যে অবসর ও কল্যাণ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং অতিরিক্ত ৪% কর্তন বন্ধ।
৬. চাকরির বয়সসীমা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মতো ৬৫ বছরে উন্নীত করা।
৭. শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন ও শিক্ষা প্রশাসনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আনুপাতিক হারে পদায়ন।
৮. ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি বিলুপ্ত করে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো পরিচালনা ব্যবস্থা চালু।
৯. শিক্ষকদের ওপর হামলা, হয়রানি ও অপবাদ দিয়ে চাকরিচ্যুতি বন্ধ করে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা।
১০. শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন।
১১. স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা।

আজকের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন দুই শতাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী। তাদের আন্দোলন আরও জোরদার হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা, বিশেষ করে আগামীকালকের সময়সীমা পেরিয়ে গেলে।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর