গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের উপর শাহবাগ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের হামলার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২৮ মে) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ বিক্ষোভ করেন তারা।
বিক্ষোভে রাবি ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রাকিব হোসেন বলেন, গতকাল আমাদের ওপর দফায় দফায় হামলা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বা প্রশাসনের কেউ তাদের থামায়নি। ৫ আগস্টের পর সারাদেশকে তারা অস্থিতিশীল করে তুলেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জামায়াতের কোলে বসে আছে। তারাও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা চাই একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস। এই প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট বানাতে চায়।
ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারিয়ার আলিফ বলেন, ৫ আগস্ট ইন্টিরিম সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করা হচ্ছে, সন্ত্রাসীদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসী নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) প্রধানকে মুক্তি দেওয়া ও হিজবুত তাহরীরসহ অসংখ্য সন্ত্রাসী সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এখন আবার হানাদার পাকিস্তানিদের সহযোগী এটিএম আজহারের মতো চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এনসিপি ও '৭১-এর কথাকে ভুলে যাচ্ছে। ’৭১-কে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ কল্পনা করা যাবে না। ২৪-এর অভ্যুত্থান ’৭১-এরই ধারাবাহিকতা। রাবির মিছিলে হামলার প্রতিবাদে আজ চট্টগ্রামে মিছিলে হামলার দায় নিতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। আমি গতকালের মিছিলে হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।
ছাত্র যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক তারেক আশরাফ বলেন, গতকাল আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামে আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর আজ ছাত্রশিবির আবারও হামলা করেছে। এটিএম আজহার যদি রাজাকার না হয়ে থাকে, ১০/১২ জনের মিছিলে ২০০ জন কেন ঝাঁপিয়ে পড়লো!
এসময় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত গৌড়/জে.আর
মন্তব্য করুন: