[email protected] বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২

একজন প্রকৃত বন্ধুর গুণাবলী

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:২৬

ছবি : সংগৃহীত

জন্মের পর থেকে মানুষ সম্পর্কের মায়াজালে জড়িয়ে পড়ে। পরিচিত মুখগুলো নিয়েই গড়ে ওঠে তাদের পৃথিবী। কিন্তু বন্ধুরা থাকে সব বাঁধনের ঊর্ধ্বে। বন্ধুত্বের কোনো সীমানা নেই, নেই কোনো জাতিভেদ। কী করে ভালো বন্ধু হয়ে ওঠা যায় সেটা কেউ কি বলতে পারে, কিংবা কেউ কি কোনো চেনা ছকে তাকে জুড়ে দিতে পারে? চলুন বন্ধুত্ব সম্পর্কে জানা যাক

বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার কিছু টোটকা জানাযাক

পর্ব-১

১.প্রতি মুহূর্তের স্বতঃস্র্তাই বন্ধুত্ব

দু’জন বন্ধুকে সবসময় পাশাপাশি বসিয়ে বন্ধুত্ব করতে হবে বলে বন্ধুত্ব করা যায় না। প্রেমের মতোই বন্ধুত্বও সাবলীল এবং স্বতঃস্ফুর্ত। ফলে প্রিয় বন্ধুরা কখনওই একসঙ্গে চুপচাপ থাকে না। তারা প্রাণবন্ত এবং উচ্ছল থাকে। যদি কথাই বলতে ইচ্ছা না করে তাহলে সেই বন্ধুত্ব না করাই ভালো। জোর করে অন্তত বন্ধুত্ব হয় না ৷

২.বন্ধুত্ব চিরকালের

প্রিয় বন্ধু চিরদিনের। হতে পারে দু’জনে আলাদা কলেজ গিয়েছেন, আলাদা শহরে জীবন-যাপন করেন, প্রাত্যহিক জীবনের নানা কর্মকান্ডে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, কিন্তু এত কিছুর পরও ভালো বন্ধুত্ব কখনোই হারিয়ে যায় না। দুজন ভালো বন্ধু কখনোই একে অপরকে ভুলে যাবে না, বরং আরো বেশি করে একে অপরকে মনে করবে এবং সময় পেলেই একে অপরের সঙ্গে দেখা করে খুনসুটি করবে, এমনই হতে হবে বন্ধুত্ব। রাগ অভিমান করে পরস্পরকে ভুলে গেলে সেটা কখনোই প্রকৃত বন্ধুত্ব নয়। যেকোনো উপায়ে একে অপরের সাথে যুক্ত থাকা এবং মনের ভাব আদান-প্রদান করার চেষ্টার মধ্য দিয়ে বন্ধুত্বকে জিইয়ে রাখতে হয়।

৩.বন্ধুত্বে বিশ্বস্ত থাকা

বন্ধুত্বে বিশ্বাস রাখা খুবই জরুরী। তৃতীয় কোনো পক্ষের কথার সূত্র ধরে বন্ধুত্বের বিশ্বাসভঙ্গ কখনোই কাম্য নয়। প্রকৃত বন্ধুকে এ বিষয়টি সবসময় মাথায় রাখতে হয়, তবেই তো বন্ধুত্ব দীর্ঘায়ু হয়। বন্ধুত্বে কোনো সমস্যা থাকলে মুখোমুখি আলোচনা করা, সরাসরি জানতে চাইলে অনেক ভুল-ভ্রান্তি সহজেই দূর করা যায়। প্রয়োজনে তৃতীয় পক্ষকে সামনে রেখে তথ্যের সত্যতা যাচাই করা উচিত। অকারণে কখনোই বন্ধুকে দায়ী করবেন না। বন্ধুর কোনো কিছু অপছন্দ হলে অন্যের কাছে সমালোচনা না করে সরাসরি বলাই শ্রেয়।

৪.দুঃসময়ে পাশে থাকা

এক বন্ধুর বিপদে চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই অন্য বন্ধুর সাড়া দেওয়াই হচ্ছে প্রকৃত বন্ধুত্বের পরিচয়। প্রয়োজনে রাত চারটের সময়েও বন্ধুর পাশে থাকা অপর বন্ধুর কর্তব্য। যে বন্ধুর জন্য আপনি এমন করতে পারবেন এবং যে বন্ধু আপনার পাশে সর্বদা থাকতে পারবে, সে-ই আপনার সত্যিকার বন্ধু। ফলে এরকম বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করাই উচিত।

৫.বন্ধুত্বের ইচ্ছেকে সম্মান জানানো

বন্ধুর ইচ্ছাকে সবসময় সম্মান জানানো উচিত। যদি তা পছন্দ না হয়, তবে সরাসরি বলুন। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকা অবশ্যই জরুরী। সমালোচনা করুন, তবে কটুক্তি নয়। বন্ধুর সমালোচনা বন্ধুরা করবে না তো কে করবে? তবে সমালোচনার ভাষা ব্যবহারে সচেতন হওয়ায় খুবই প্রয়োজন। একবার ভুল হলে তাকে ছুঁড়ে না ফেলে তা শুধরে নেওয়াই প্রকৃত বন্ধুর দায়িত্ব। বন্ধুর প্রতি বিনয়ী হওয়া বন্ধুত্বের প্রধান হাতিয়ার।

আলোকিত গৌড়/এম.এইচ.টি

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর