বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত ও শীত এবং বসন্ত। প্রকৃতির নিয়মেই ভিন্নতা প্রতিটি রুপই সৌন্দর্যের লীলা নিকেতন। গ্রামীণ সংস্কৃতিতে প্রতিটি ঋতুই তার নিজস্ব কিছু সক্রিয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে সমাগত হয় এই জনপদে।
প্রতি দুই মাস অন্তর ঋতুর আবির্ভাবে দেশের আকাশে বাতাসে ভিন্ন পরিবেশে এই জনপদের মনে নিত্য নতুন আমেজ বিরাজ করে। প্রকৃতির নিয়মে পৌষ ও মাঘ শীতকাল হলেও তা অগ্রহায়ণ মাস থেকে শীতের সূচনা হতে দেখা যায়। শীত আসে প্রকৃতিতে শূন্যতা আর জড়তা নিয়ে। আর তাই গ্রামীণ সংস্কৃতিতে জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।
গ্রামের চারপাশে খুব সকালে শিহরণী ঠান্ডা সু-বাতাস যেন শীতের ঘনঘটা। সকালবেলা দুর্বা ঘাসের ডগাই শিশির বিন্দু মুক্তঝড়া এমন দৃশ্য বাড়িয়ে তুলে শীতের ভিন্ন আমেজ।শীতের আগমনে খাল-বিলে জমে থাকা পানির উপরে বেড়ে ওঠা নাম না জানা রং-বেরঙের অসংখ্য ফুলের সমাগম।আর এমন অপরূপ দৃশ্য মাতিয়ে তুলে শীতের সূচনাময় মুহূর্ত।
গ্রামীণ পথ ঘাটের পরিবেশে বিভিন্ন উদ্ভিদের মাতৃগর্ভে থেকে সদ্য ফোটা শেত শুভ্র ফুলের গন্ধ যেন মুগ্ধ করে তুলে শীতের কৌশলীতা।দিগবেদিক থেকে উড়ে আসা অতিথি পাখির গুন জড়িতা মুখরিত করে শীতের আগমনী বার্তাকে।
পড়ন্ত বিকেলে আকাশে ভেসে থাকা ধবধবে সাদা মেঘের ভেলা ও নীল আসমানে সূর্য মামার লুকোচুরি খেলার সাথে বরণ করে নিচ্ছে পাড়া গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরাও।দিনের দীর্ঘতা কমে যাওয়ায় সন্ধ্যা নামতেই গ্রামের কাঁচা পাকা পথ ঘাটে বয়তে থাকা হিম-ঝিম ধুমকুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।
আলোকিত গৌড়/জে.আর
মন্তব্য করুন: