[email protected] বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২৫, ১৯:০৩

ফাইল ছবি

দখলদার ইসরায়েল ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রাখলেই মৃত্যুদণ্ড— এমন কঠোর আইন পাস করেছে ইরানের সংসদ। নতুন আইনে বলা হয়েছে, শত্রু রাষ্ট্রগুলোর হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, তথ্য আদান-প্রদান বা সহায়তা করা ‘পৃথিবীতে দুর্নীতির’ অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) ইরানের সংসদে এই আইনটি পাস হয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল।

নতুন আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যারা ইসরায়েলকে সামরিক, প্রযুক্তিগত বা আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য ‘শত্রু’ রাষ্ট্রের সঙ্গে যেকোনো রকমের সম্পর্কও অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

আইনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, সাইবার হামলা কিংবা ইরানি অবকাঠামোয় নাশকতা— এমনকি এসব কার্যক্রমের চেষ্টা করলেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।

এছাড়া ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইরান সরকার। স্টারলিংকসহ অন্যান্য অননুমোদিত ইন্টারনেট সরঞ্জাম ক্রয়, বিক্রি বা নিজের কাছে রাখা গুরুতর অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। এসব অপরাধে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হবে। তবে যদি কেউ ১০টির বেশি সরঞ্জাম উৎপাদন বা আমদানি করে, তাহলে তার শাস্তি ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

মিথ্যা তথ্য বা গুজব ছড়ানো, আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি তৈরির মতো কনটেন্ট তৈরি বা প্রচারের অভিযোগে ১০ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে। এছাড়া কেউ যদি বিদেশি গণমাধ্যমকে ছবি বা ভিডিও পাঠায়, যা ইরানি জনগণের মনোবল ক্ষুণ্ন করে, তবে তার জন্য ২ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ফতোয়া জারি করেছেন ইরানের শীর্ষ শিয়া ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি। ফতোয়ায় তিনি ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে ‘আল্লাহর শত্রু’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, যারা ইসলামের নেতাদের হুমকি দেয়, তারা সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ধর্মীয় অবস্থান নেওয়া জরুরি।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর