যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের সরকারে বড় ধরনের রদবদলের অংশ হিসেবে পদত্যাগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
২০২০ সাল থেকে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা শ্যামিহাল নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে পদত্যাগপত্রের ছবি প্রকাশ করে লেখেন, “দেশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করায় আমার পুরো দলকে ধন্যবাদ!” একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
এর একদিন আগে, সোমবার (১৫ জুলাই) প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কোকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, “আমি ইউক্রেন সরকারের নেতৃত্ব ও এর কার্যক্রম নতুন করে শুরু করার জন্য ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কোর নাম প্রস্তাব করেছি। শিগগিরই নতুন সরকারের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে।”
দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর গুঞ্জন রয়েছে যে, পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহালকে ইউক্রেনের নতুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
বর্তমানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রুস্তেম উমেরভ। তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের সম্ভাবনার কথাও উঠে এসেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে।
সরকারি পর্যায়ে এই রদবদলকে “নির্বাহী শাখার কাঠামোগত রূপান্তরের সূচনা” হিসেবে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, “কিয়েভের ক্ষমতা আরও জোরদার করাই এই পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বিরল খনিজ সম্পদ চুক্তিকে কেন্দ্র করে ইউক্রেনের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে ব্যাপক টানাপোড়েন তৈরি হয়। সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউস বৈঠকে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন জেলেনস্কি।
ওই সময় আলোচনায় আসেন ইউক্রেনের ৩৯ বছর বয়সী নারী রাজনীতিক ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কো, যিনি এখন হতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র: রয়টার্স
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: