দ্বিতীয় দিনের মতো থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষ আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। যুদ্ধবিমান, কামান, ট্যাংক ও স্থলসেনা ব্যবহার করে পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেই থাই সরকার শুক্রবার (২৫ জুলাই) চনথাবুরি ও ত্রাত প্রদেশের সীমান্তবর্তী আটটি জেলায় সামরিক আইন জারি করেছে।
চনথাবুরি ও ত্রাত প্রদেশে সীমান্ত প্রতিরক্ষা কমান্ডের কমান্ডার আপিচারট সাপরাসার্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “চনথাবুরির সাতটি জেলা এবং ত্রাত প্রদেশের একটি জেলায় সামরিক আইন এখন থেকে কার্যকর থাকবে।”
দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে দুই দেশের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই পক্ষই ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে একে অপরের ওপর হামলা চালাচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় থাই সরকার সীমান্তবর্তী চারটি প্রদেশ থেকে এক লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়ে প্রায় ৩০০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করেছে।
থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৩ জনই বেসামরিক নাগরিক এবং ১ জন সেনাসদস্য।
প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছে। এর আগেও ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত একাধিকবার সীমান্তে সংঘর্ষ হয়েছে, যার ফলে অন্তত ২৮ জন নিহত এবং ১০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।
সূত্র: আল জাজিরা
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: