[email protected] রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
৯ ভাদ্র ১৪৩২

মালয়েশিয়ায় জুমআ’র নামাজ বাদ দিলেই কারাদন্ড ও জরিমানা প্রজ্ঞাপন জারি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১ আগষ্ট ২০২৫, ২২:৫৬

সংগৃহিত ছবি

ওজর ছাড়া জুম’আ ত্যাগকারীদের জন্য জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান জারি করলো মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু রাজ্যের সরকার।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ডন নিউজের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যান-মালয়েশিয়ান ইসলামিক পার্টি (পিএসএ) দ্বারা শাসিত মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু রাজ্য সরকার সম্প্রতি জুম’আ কেন্দ্রিক একটি শাস্তির বিধান জারি করেছে। যেখানে বলা হয়, শরঈ ওজর ছাড়া কোনো পুরুষ যদি জুম’আর নামাজ না পড়ে তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। অপরাধীকে শরিয়া ফৌজদারি অপরাধ আইনের অধীনে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড বা ৩ হাজার রিঙ্গিত (৮৬,৩৬৮ টাকা) পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।

মালয়েশিয়ান দৈনিক বেরিতা হারিয়ানেতে এবিষয়ে রাজ্যটির নির্বাহী পরিষদের সদস্য মুহাম্মদ খলিল আব্দুল হাদির একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। যেখানে তিনি বলেছেন, এখন থেকে শরঈ ওজর ছাড়া এক জুম’আ ত্যাগ করলেও তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। ইতোপূর্বে পরপর ৩ জুম’আয় অনুপস্থিত ব্যক্তিদেরকে শুধু শাস্তির আওতায় আনা হতো।

তিনি আরো বলেন, রাজ্য সরকার শুক্রবারের জুম’আর নামাজের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দিতে মসজিদগুলোতে ব্যানার টানিয়ে দিবে। তদসংশ্লিষ্ট আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে কাজ শুরু করবে। আইন বাস্তবায়নে অভিযানও শুরু করা হবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, এই অনুস্মারকটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, শুক্রবারের নামাজ কেবল একটি ধর্মীয় প্রতীক নয় বরং মুসলমানদের মধ্যে আনুগত্যের প্রকাশও বটে।

রাজ্যের নির্বাহী পরিষদের এই সদস্য পুনরায় সতর্ক করে দিয়ে বলেন, শরীয়াহ পুলিশ নামাজ বর্জনকারী পুরুষদের বিরুদ্ধে পাবলিক রিপোর্ট বা টহলের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নিতে পারবে।

অপরদিকে এই আইনের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন দেশটির বিভিন্ন ব্যক্তি। তেমনি একজন হলেন, আইনজীবী আজিরা আজিজ। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, “ইসলামে কোন জবরদস্তি নেই এই দাবিটি এখন কোথায় গেলো? নাকি তেরেঙ্গানু পুরুষদের খুব কম সংখ্যকই শুক্রবারের নামাজ আদায় করে এবং এটি তার প্রতিফলন?”

তিনি আরো লিখেন, “শুক্রবারের জুম’আর নামাজ ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে কেউ দ্বিমত পোষণ করে না। তবে এটিকে অপরাধ হিসেবে আইনে অন্তর্ভুক্ত করার কোনো প্রয়োজন ছিলো না। ”

আলোকিত গৌড়/এম.আর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর