[email protected] বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২

ফুঁসছে তিস্তা, বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত রেড অ্যালার্ট জারি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২৪, ২৩:০২

দু’দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে অঝোরে ঝরছে বৃষ্টি। অতিভারী বৃষ্টিপাত চলছে সিকিমেও। পাহাড় ও সমতলে অবিরাম বর্ষণে ফুঁসে উঠেছে তিস্তা, জলঢাকাসহ রাজ্যের একাধিক নদী। তাই বাঁধ থেকে ছাড়া হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ পানি। এ অবস্থায় তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের জন্য লাল সতর্কতা (রেড অ্যালার্ট) জারি করেছে সেচ দপ্তর।

দু’দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে অঝোরে ঝরছে বৃষ্টি। অতিভারী বৃষ্টিপাত চলছে সিকিমেও। পাহাড় ও সমতলে অবিরাম বর্ষণে ফুঁসে উঠেছে তিস্তা, জলঢাকাসহ রাজ্যের একাধিক নদী। তাই বাঁধ থেকে ছাড়া হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ পানি। এ অবস্থায় তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের জন্য লাল সতর্কতা (রেড অ্যালার্ট) জারি করেছে সেচ দপ্তর।

কয়েকদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টিতে একদিকে যেমন পাহাড় থেকে নেমে আসছে বিশাল জলস্রোত, তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সমতলের বৃষ্টির পানি। দুয়ে মিলে রুদ্ররূপ ধারণ করেছে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকাসহ পশ্চিমবঙ্গের বুক চিরে বয়ে যাওয়া খরস্রোতা নদীগুলো।

রাজ্যের সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জলপাইগুড়ির গাজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে রোববার (৩০ জুন) সকালে ২ হাজার ৬৯৮ দশমিক ৬৩ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে। নদীতে দ্রুত পানি বাড়ায় তিস্তার পাড়ে অবস্থিত মেকলিগঞ্জ শহর থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

তিস্তার পাড় ঘেঁষে গেছে এনএইচ-১০ জাতীয় মহাসড়ক। নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় সিকিমগামী সড়কটিতে ধস নেমেছে। এ কারণে ওই রাস্তা দিয়ে আপাতত যানচলাচল বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। সব গাড়ি বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় কর্মকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিন পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতজুড়ে অতি ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি, কালিম্পং এবং কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারীর বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি রয়েছে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলোতে বিক্ষিপ্তভাবে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত চলতে পারে।

 

আলোকিত গৌড়/এফ.এ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর