[email protected] বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২

মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ ঘটনা ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২৫, ১৪:৫১

ছবিঃ সংগৃহিত

মাগুরায় ৮ বছরের একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় হাইকোর্ট মামলার বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে শিশুটির সব ছবি পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসি কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

রোববার (৯ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত ধর্ষণের শিকার শিশু ও তার ১৪ বছরের বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমাজসেবা অফিসার নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছেন। 

এই মামলার পক্ষে আদালতে ছিলেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ, ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন ও ব্যারিস্টার মিথুন রায় চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান। 

শিশুটির মা শনিবার (৮ মার্চ) সকালে এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শিশুটির শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা শিশুটির শাশুড়ি ও ভাসুরও জানতেন। ঘটনা গোপন করতে শিশুটিকে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। 

ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়, চার মাস আগে মাগুরা পৌর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে শিশুটির বড় বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বড় মেয়েকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তার শ্বশুর। ১ মার্চ শিশুটি তার বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। গত বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে শিশুটি বড় বোন ও তার স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমায়। রাত আড়াইটার দিকে বড় বোন ঘুম থেকে জেগে দেখেন, শিশুটি মেঝেতে পড়ে আছে। শিশুটি বোনকে জানায়, তার যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া হচ্ছে। পরদিন সকালে শিশুটি আবার বোনকে জানায়, রাতে বোনের স্বামী দরজা খুলে দিলে তার শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করেন। 

ঘটনা জানার পর শিশুটির বড় বোন মাকে ফোন করতে গেলে তার স্বামী ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে মারধর করেন এবং দুই বোনকে আলাদা কক্ষে আটকে রাখেন। সকালে প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পারলে শিশুটিকে মাগুরা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে শিশুটির শাশুড়ি চিকিৎসকদের কাছে মেয়েটিকে "জিনে ধরেছে" বলে মিথ্যা তথ্য দেন। পরে চিকিৎসকরা বিষয়টি বুঝতে পারলে শাশুড়ি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।

এই ঘটনায় হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হয়েছে। এখন সবাই এই মামলার বিচার প্রক্রিয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন, যাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায় এবং শিশুটির শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

আলোকিত গৌড়/এম.আর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর