বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চাঁদাবাজির চারটি মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে রোববার (৫ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তারেকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এম বদরুদ্দোজা ও মো. রুহুল কুদ্দুস, আইনজীবী কায়সার কামাল, কামরুল ইসলাম সজল ও মাকসুদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট মামলাগুলো বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন। এই বাতিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। দুই পক্ষের পূর্ণাঙ্গ শুনানি নিয়ে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আপিল ডিসমিসড (খারিজ) করেছেন। তার মানে দাঁড়ালো, হাইকোর্ট মামলাগুলো যে বাতিল করেছিলেন, সেই বাতিলের রায় কার্যকর থাকলো।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গত ডিসেম্বরে পৃথক লিভ টু আপিল করে। পৃথক লিভ টু আপিল গত ৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। সেদিন আদালত লিভ টু আপিল আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।
গত ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চারটি মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন।
২০০৭ সালে গুলশান থানায় তিনটি ও ধানমন্ডি থানায় করা একটি মামলাসহ ওই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে তারেক রহমানের করা পৃথক আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে এ রায় দেওয়া হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল আবেদন করা হয়।
আইনজীবী সূত্রগুলোর তথ্য অনুসারে, ওই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন তারেক রহমান। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট (চূড়ান্ত) ঘোষণা করে রায় দেন আদালত।
আলোকিত গৌড়/এম.এইচ.টি
মন্তব্য করুন: