[email protected] বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২

ইসি কর্মীদের ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি সাময়িকভবে স্থগিত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১৫:২১

সংগৃহিত ছবি

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মীরা এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার জন্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি ঐকমত্য কমিশনে তাদের মতামত উপস্থাপন করেছেন। এর ফলে বুধবার (১৯ মার্চ) নির্ধারিত ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন এই তথ্য জানান।

ইসি কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ বাতিল করে এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়ে আসছেন। সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখা গেলে ১৯ মার্চ বুধবার ‘অপারেশনাল হল্ট’ নামে একটি কর্মবিরতি কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মনির হোসেন বলেন, "আমাদের দাবি নিয়ে ইসি সক্রিয় রয়েছে। সরকারের কাছে এবং ঐকমত্য কমিশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে, যাতে এনআইডি ইসির অধীনে রাখা হয়। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবও এই বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের সার্বিক সেবার কথা বিবেচনা করে এবং এই আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা বুধবারের অপারেশনাল হল্ট কর্মসূচি স্থগিত করেছি।"

তিনি আরও বলেন, যদি ইসি কর্মীদের দাবি পূরণের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়, তাহলে আগামীতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামানও এই বিষয়ে একই রকম মত প্রকাশ করেন।

ইসি কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, ভোটার তালিকা ও এনআইডি কার্যক্রম একসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার পক্ষে ইসির পূর্ববর্তী সংলাপগুলোতে বিভিন্ন অংশীজনরা তাদের মতামত দিয়েছেন। তবে ২০২৩ সালে একটি আইন পাস করে শুধুমাত্র এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যমান আইনটি বাতিল করে এনআইডি ইসির অধীনেই রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, আলাদা করে একটি কমিশন গঠন করে এনআইডি তার অধীনে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

আলোকিত গৌড়/এম.আর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর