বাংলা নববর্ষ বরণে এবার থেকে আর ব্যবহার করা হবে না 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নামটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ আয়োজন করছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’, যা এবছর থেকে নতুন নাম হিসেবে চালু হচ্ছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এই নামকরণের ঘোষণা দেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। জানানো হয়, নব্বইয়ের দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি চালু হলেও এবার ফিরে যাওয়া হচ্ছে শোভাযাত্রার প্রাথমিক নামে—‘আনন্দ শোভাযাত্রা’র ভাবধারায়।
এবারের শোভাযাত্রার স্লোগান ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। আয়োজকরা বলছেন, এই প্রতিপাদ্যের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে দেশব্যাপী একতা এবং সংস্কৃতির বার্তা তুলে ধরা হবে।
অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—এবারের শোভাযাত্রা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। বাঙালিদের পাশাপাশি ২৭টি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী এই শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, গারো প্রভৃতি গোষ্ঠীর উপস্থিতি বাংলা নববর্ষ উদযাপনকে আরও বৈচিত্র্যময় ও সার্বজনীন করে তুলবে।
অতিরিক্ত আয়োজন হিসেবে চৈত্র সংক্রান্তিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কনসার্ট এবং নববর্ষের দিন ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে 'সুরের ধারা’র বিশেষ সংগীতানুষ্ঠানও থাকবে।
১৯৮৯ সালে শুরু হওয়া এই শোভাযাত্রা ২০১৬ সালে ইউনেসকোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়, যা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক স্বীকৃতির এক গর্বের অধ্যায়।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: