ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনরত কারিগরি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কারিগরি অনুবিভাগ) রেহানা ইয়াছমিনের নেতৃত্বে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’-এর ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য প্রস্তাবিত ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিল, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) পদের জন্য ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা, এবং কারিগরি সব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা করা।
অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—প্রতিটি বিভাগীয় শহরে কারিগরি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষা চালু এবং ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের শিক্ষক পদের জন্য আবেদনযোগ্য করা, ও প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য ন্যূনতম বেতন স্কেল নির্ধারণ।
এর আগে গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকার তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। একই সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৪টার দিকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শোয়াইব আহমাদ খান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন এবং পদোন্নতিতে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের কোনো কোটা থাকবে না বলে জানান।
তবে শিক্ষার্থীরা লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়া আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াতে অস্বীকৃতি জানান এবং দাবি পূরণের নির্দিষ্ট সময়সীমাসহ লিখিত প্রতিশ্রুতি দাবি করেন।
এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সারাদেশে রেলপথ অবরোধ এবং অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের আশ্বাসের ভিত্তিতে তারা কর্মসূচি শিথিল করে আলোচনায় বসেছেন।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: