[email protected] সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
৮ বৈশাখ ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টার হাতে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ২২:০৯

সংগৃহিত ছবি

রবিবার (২০ এপ্রিল) স্টেট গেস্ট হাউস যমুনায় স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছে।

প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা স্বচ্ছতা ও নাগরিক সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “আমরা পুরো প্রতিবেদনটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করব, যাতে নাগরিক, বিশেষজ্ঞ এবং স্টেকহোল্ডাররা প্রস্তাবিত সংস্কারসমূহ অ্যাক্সেস করতে ও বুঝতে পারেন। আমি বিশ্বাস করি, এই সংস্কারগুলি স্কুল পর্যায় থেকেই শেখানো উচিত—নাগরিক সচেতনতা গড়ে তুলতে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের আর সময় নষ্ট করা উচিত নয়। সংস্কারগুলো যত দ্রুত সম্ভব কাগজ থেকে বাস্তবতায় রূপান্তর করতে হবে।”

অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে কমিশনটি কয়েক মাসব্যাপী আলোচনার মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের গবেষণা ও বিশ্লেষণ শেষে এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।

অধ্যাপক আহমেদ জানান, “প্রতিবেদনটি একটি ঐকমত্যভিত্তিক প্রচেষ্টার ফসল। প্রথম অংশে কাঠামোগত সংস্কারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, এবং দ্বিতীয় অংশে আমরা ‘অন্য হাজার বাস্তবায়নের একটি একক ধারণা’ প্রস্তাব করেছি—যা বাস্তব এবং পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।”

তিনি বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য স্থানীয় সরকারকে আরও স্মার্ট, দক্ষ এবং জনমুখী করা। সম্পদ ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কমিশন একটি পৃথক অধ্যায়ে সুপারভাইজরি ব্যবস্থার প্রস্তাব রেখেছে।”

প্রতিবেদনটিতে শহরাঞ্চলের বিশেষ করে ঢাকা সিটি করপোরেশনগুলোতে বিরাজমান চ্যালেঞ্জগুলোরও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। অধ্যাপক আহমেদ বলেন, “বিভাগীয় অদক্ষতা এবং ব্যাপক ঘুষ দুর্নীতির জটিল চক্র তৈরি করছে, যা প্রকল্পের নকশা থেকে শুরু করে প্রতিদিনের পরিষেবা প্রদান পর্যন্ত বিস্তৃত। যদি আমরা এগুলো সমাধান করতে না পারি, তাহলে কার্যকর শাসন একটি কল্পনাই রয়ে যাবে।”

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা, যাদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, আব্দুর রহমান, ড. মাহফুজ কবির, মাহমুদা খাতুন শেফালী, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, এলিরা দেওয়ান, অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, এ কে এম তারিকুল আলম, হেলেনা পারভিন এবং মেশাহ উদ্দিন খান।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর