সময়টা ২০১৮ সাল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার আগেরদিন রাতের ঘটনা। বর্তমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির সভাপতি (তখন ২য় বর্ষে ছিল) সহ প্রায় ১৫-২০ জন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা রাতে ক্যাম্পাস ঘুরে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত ক্যাম্পাস ঘুরে ঘুরে দেখছিলো।
সময়টা ২০১৮ সাল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার আগেরদিন রাতের ঘটনা। বর্তমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির সভাপতি (তখন ২য় বর্ষে ছিল) সহ প্রায় ১৫-২০ জন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা রাতে ক্যাম্পাস ঘুরে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত ক্যাম্পাস ঘুরে ঘুরে দেখছিলো। এই ১৫-২০ জনের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলো।
তারা হাটতে হাটতে হঠাৎ ছাত্রলীগের ৩টা বাইক এসে তাদের পথরোধ করে বিভিন্ন প্রশ্ন করে, এক পর্যায়ে তারা একজনকে চিনতে পারে শিবিরের নেতা হিসেবে।তারা তাকে রেখে বাকি সবাইকে চলে যেতে বলে ক্যাম্পাস থেকে। কিন্তু উপস্থিত কেউই তাকে রেখে আসতে চাননি। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ না পেরে ফিরে যায়।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ততকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি(রুনু-কিবরিয়া) সহ প্রায় ১৫-২০ টা বাইক এসে তাদেরকে ঘিরে ফেলে।সবাইকেই ওই রাতে বঙ্গবন্ধু হলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যেককে প্রচুর পরিমাণে মারতে থাকে, তাদের কাছে থাকা হকস্টিক, লাঠিসোটা, স্টাম্প, পাইপ, রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে। প্রথম বর্ষের ছেলেগুলাও রক্ষা পায়নি তাদের এই নির্যাতন থেকে।
দীর্ঘক্ষণ ধরে মাইরের এক পর্যায়ে ৩জন বাদে বাকি সবাইকে ওরা ছেড়ে দেয়। কিন্তু বাকি ৩ জনকে ওরা ২০ জন মিলে মারতেই থাকে,একজন ক্লান্ত হইলে আরেকজন পালাক্রমে। তারমধ্যে একজন ছিলেন বর্তমান সভাপতি আব্দুল মোহাইমিন। একজনের দুইটা পা ভেঙে দেয় ওই সন্ত্রাসীরা, আর বাকিরাও মারাত্মকভাবে আহত হয়। এরপর পুলিশ এসে উল্টা আহত ৩জনকেই ধরে নিয়ে যায়।
এরপর প্রথমে মেডিকেলে এরপর জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। বাকি দুইজন দ্রুত মুক্তি পেলেও আব্দুল মোহাইমিন ৬০ দিন জেলখেটে বের হন। তখন তিনি মাত্র ২য় বর্ষের ছাত্র।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সামনে এসেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতির পরিচয়। তিনি হলেন আব্দুল মোহাইমিন, ইসলামিক স্টাডিজ(১৬-১৭) বিভাগের শিক্ষার্থী। এবং বর্তমান এমফিল করছেন।
আলোকিত গৌড়/জে.আর
মন্তব্য করুন: