বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে আহবায়ক কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, মুখপাত্র উমামা ফাতিমা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন আহবায়ক কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে রাজনীতি হবে না, কিন্তু সদস্য যারা আছে তারা ভবিষ্যতে রাজনীতিতে যুক্ত হতে পারবে না এমন নয়।
হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, মুজিববাদী শক্তিকে মূলোৎপাটনে লড়াই অব্যাহত থাকবে। ২৪ পরবর্তী সময়ে সবাইকে রক্তের দায় নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। মুজিববাদী মিডিয়া ছাড়া বেশিরভাগ মিডিয়ায় শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিয়েছে বলে জানান তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরোও জানান, আহত ও শহীদ পরিবারেরর যথাযথ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও পুনর্বাসনে যেন কোন বিলম্ব না হয়। আহতদের সবার আগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রতি সপ্তাহে ২শ জনকে সহায়তা দেওয়া হবে, প্রয়োজন হলেই দাঁড়াবো। এবং প্রতি পরিবারের অন্তত একজনকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, জেলা উপজেলা পর্যায়ে কাঠামো তৈরি, যারা ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে অপকর্মে জড়াচ্ছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সামনে যুদ্ধ আরো কঠিন হতে পারে, তাই চেতনাকে ধারণা করে আরও সুসংগঠিত হতে হবে। অভ্যুত্থানে যুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনকারীদের নিয়ে পূর্ণ কমিটি হবে বলে জানান তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের জানান, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫৮ কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের সাথে কথা বলে ৪ জনের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাংলার আনাচেকানাচে যতজন যোগ দিয়েছিলেন তার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। এবং এই দল কখনো রাজনৈতিক দল হিসেবে আবির্ভাব হবে না।’
নতুন কমিটির সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘অক্ষত ফ্যাসিস্ট কাঠামো অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা নস্যাতের কাজ করছে। এক দফা পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। যতদিন পর্যন্ত না পরিপূর্ণভাবে ফ্যাসিস্ট কাঠামো সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত না হচ্ছে শহীদদের সম্মানার্থে ততদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজপথে থাকবে।’
নতুন কমিটির মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ফ্যাসিবাদী আন্দোলনের বিপক্ষে নেতৃত্ব দিতে পারে এমন শিক্ষার্থী খুঁজে তাদের যুক্ত করা হবে। যারা মধ্যস্ততায় ভূমিকা রাখবে, তারা রাজনৈতিক কোন কাজে ব্যবহার হবে না।
মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘গণ অভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকা দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে।’
আলোকিত গৌড়/জে.আর
মন্তব্য করুন: