[email protected] বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২

যেসব কারণে অজু করতে হয়

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৮

ছবি: সংগৃহীত

অজু মোট ৩ প্রকার। তা হচ্ছে- ফরজ, ওয়াজিব ও মুস্তাহাব। তবে অজু না থাকা ব্যক্তির জন্য চার অবস্থায় অজু ফরজ হয়। আবার কিছু সময়ে অজু করা ওয়াজিব ও মুস্তাহাব হয়।

যখন অজু করা ফরজ তা হলো-

১. নামাজ আদায়ের জন্য, যদি নফল নামাজও হয়। (বুখারি, হাদিস নং : ১৩২)

২. জানাজার নামাজ আদায়ের জন্য।

(সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস নং : ৪৩৫)

৩. সিজদায়ে তিলাওয়াতের জন্য বা শাহু সিজদাহ। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস নং : ৪৩৫)

৪. পবিত্র কোরআন স্পর্শ করার জন্য। অনুরূপভাবে অজু ছাড়া ব্যক্তি যদি পবিত্র কোরআনের আয়াত লেখা দেয়াল, কাগজ, টাকা—যেটাই ছুঁতে চাইবে, তার জন্য অজু করা ফরজ। (সুরা ওয়াকিয়া, আয়াত : ৭৯, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ১/১১৩)

যখন অজু করা ওয়াজিব তা হলো-

 

শুধু একটি বিষয়ের জন্য অজু করা ওয়াজিব। তা হলো, কাবা ঘরের তাওয়াফ করা জন্য। (তিরমিজি, হাদিস নং : ৮৮৩)

অজু করা যখন মুস্তাহাব তা হলো-

 

- পবিত্রতার সঙ্গে ঘুমানোর জন্য। (বুখারি, হাদিস নং : ২৩৯)

- ঘুম থেকে জাগ্রত হলে। তখন শুধু মুস্তাহাবই নয়, বরং সুন্নাত (বায়হাকি, হাদিস নং : ৫৮৫)

- সব সময় অজু অবস্থায় থাকার জন্য। (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ২৭৩)

- সাওয়াবের নিয়তে অজু থাকা অবস্থায় অজু করা।

- গিবত ও মিথ্যা কথার আশ্রয় নেওয়ার পর। (মুসলিম, হাদিস নং : ৩৬০)

- মন্দ ও অশ্লীল কবিতা পাঠের পর। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং : ১/১৩৫)

- নামাজ ছাড়া অন্য অবস্থায় অট্টহাসি দেওয়ার পর। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং : ৯৩০১)

- তবে নামাজে অট্টহাসি দিলে অজু ভেঙে যায়। (দারাকুতনি, হাদিস নং : ৬১৫)

- মৃতকে গোসল দেওয়ার পর। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস নং : ১৫১৬)

- মৃতের লাশ ওঠানোর জন্য। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস নং : ১৫০৩)

- প্রতি নামাজের জন্য নতুন অজু করা। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং : ৭৫০৪, বুখারি, হাদিস নং : ২০৭)

- ফরজ গোসল করার আগে। (বুখারি, হাদিস নং : ২৪০)

- গোসল ফরজ হয়েছে, এমন ব্যক্তির খাওয়া, পান করা ও ঘুমানোর আগে। (মুসলিম, হাদিস নং : ৪৬১)

- রাগের সময়। (আবু দাউদ, হাদিস নং : ৪১৫২)

- কোরআন তিলাওয়াতের সময়। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস নং : ৪৩৫)

- হাদিস পড়া ও বর্ণনা করার সময়। (আদাবুল উলামা ওয়াল মুতাআল্লিমিনি : ১/৬)

- ইসলামী জ্ঞান অর্জনের সময়। (তিরমিজি, হাদিস নং : ২৭২৩)

- আজান দেওয়ার সময়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং : ১/২১১)

- ইকামত দেওয়ার সময়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং : ১/২১১)

- খুতবা দেওয়ার সময়। (তিরমিজি, হাদিস নং : ২৭২৩)

- মহানবী (সা.)-এর কবর জিয়ারতের সময়। (সুরা : নিসা, আয়াত : ৬৪)

- ওকুফে আরাফা তথা আরাফায় থাকা অবস্থায়। (বুখারি, হাদিস নং : ১৪২৪)

- সাফা ও মারওয়ায় সায়ি করার সময়। (বুখারি, হাদিস নং : ১৫১০)

আলোকিত গৌড়/এম.এইচ.টি

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর