ইসলামে ইবাদতের ক্ষেত্রে কম-বেশি করার কোনো সুযোগ নেই। কোরআন-সুন্নাহ নির্ধারিত সীমারেখার বাইরে গিয়ে স্বেচ্ছায় আমল করা কিংবা কমিয়ে দেওয়াও গ্রহণযোগ্য নয়।
আনাস বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনজন সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইবাদতের ব্যাপারে জানতে চাইলে তাদের কাছে তা তুলনামূলক কম মনে হয়। তখন একজন সারাজীবন রাতে সালাত আদায়, আরেকজন সারা বছর রোজা রাখা এবং তৃতীয়জন নারীসংস্পর্শ বর্জনের ঘোষণা দেন। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “আমি সিয়াম পালন করি, আবার ছেড়ে দিই; সালাত আদায় করি, আবার ঘুমাই এবং বিবাহ করেছি। সুতরাং যে ব্যক্তি আমার সুন্নত থেকে বিমুখ হবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।” (বুখারি, হাদিস : ৫০৬৩)
অন্য এক হাদিসে আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক বেদুঈন রাসুল (সা.)-এর কাছে জান্নাত লাভের আমল জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আল্লাহর ইবাদত করবে, শিরক করবে না, ফরজ সালাত কায়েম করবে, জাকাত দেবে ও রমজানের রোজা রাখবে।” তখন বেদুঈন শপথ করে বলেন, তিনি এর বাইরে কিছু করবেন না বা কমাবেন না। এ প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) বলেন, “যে জান্নাতিকে দেখতে চায়, সে যেন এই ব্যক্তিকে দেখে।” (বুখারি, হাদিস : ১৩৯৭; মুসলিম, হাদিস : ১৪)
মহানবী (সা.)-এর স্ত্রী আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি এমন কোনো আমল করল যাতে আমার কোনো নির্দেশনা নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।” (বুখারি, হাদিস : ২০)
ইসলামে মনগড়া ইবাদত প্রত্যাখ্যাত—এ বিষয়ে কোরআনেও স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। আল্লাহ বলেন, “রাসুল তোমাদের যা দেন তা গ্রহণ করো, আর যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাকো।” (সুরা হাশর : ৭)
অতএব, ইবাদত পালনে মহানবী (সা.)-এর পূর্ণ অনুসরণ করা অপরিহার্য। সীমালঙ্ঘন কিংবা নতুন পদ্ধতিতে আমল ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: