[email protected] বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২

মুসলমানদের ঈদ অন্য সব জাতির আনন্দ উৎসবের চাইতে ভিন্ন স্বতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী।

গ্রামীণ সংস্কৃতিতে বৈচিত্র্যময় ঈদের খুশির জোয়ার


প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২৪, ০০:২১
আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪ ০৭:০৬

ঈদ মোবারক পিকচার- সংগ্রহীত

ঈদ মানে খুশি,ঈদ মানেই আনন্দ ও কোলাহল ভ্রাতৃত্ব ভালবাসার সৌরভ বিতরণ।ঈদের আগমনে মুসলমান স্বাভাবিকভাবেই আনন্দ প্রীতি ও সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

ঈদ মানে খুশি,ঈদ মানেই আনন্দ ও কোলাহল ভ্রাতৃত্ব ভালবাসার সৌরভ বিতরণ।ঈদের আগমনে মুসলমান স্বাভাবিকভাবেই আনন্দ প্রীতি ও সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।ঈদের আনন্দ সকল মুসলিম সমান অধিকারী।এই আনন্দ ইবাদতকেন্দ্রিক পবিত্র আমেজ সৃষ্টি হয়। মুসলমানদের ঈদ অন্য সব জাতির আনন্দ উৎসবের চাইতে ভিন্ন স্বতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী।

ইতিহাস থেকে জানা যায় পূর্বে বাংলার জনপদে ঈদের দিন খুব জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজিত মর্ম ছিল না।মোগলদের আগমনের ফলে ঈদকে উৎসবমুখর রূপে দেখতে পায় উপমহাদেশের সকল মুসলিম জাতি ধর্ম।পবিত্র ঈদকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য মুসলমানরা নিজেদের মধ্যে হালকা আনন্দ ও উৎসবের ব্যবস্থা করত।তাছাড়া তখনকার মানুষ ধর্মীয় উৎসব সম্পর্কে তেমন ভারি কিছু জানা ছিল না।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সংস্কৃতিতে ঈদের আগের দিন ফজর নামাজের পর থেকে মসজিদগুলোতে তাকবীর পাঠ করা হয়।এদিকে ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দিতে টিভি অনুষ্ঠানে ঈদ মোবারক জানিয়ে থাকে,মোবাইল ফোনের ইনবক্সের দিকে তাকালেই আনন নম্বর থেকে ঈদের ম্যাসেজ অন্যরকম ঈদ আনন্দ।এছাড়াও ঈদ মানেই একে অপরের প্রতি সহনশীল সহানুবর্তিতা,যা অসচ্ছল আত্মীয়দের ঈদ বোনাস উপহার উপঢৌকন পথ বয়ে পৌঁছে দিতে যাওয়া ভিন্ন স্বাদের ঈদ আনন্দ।

এছাড়াও,ঈদের আগে আগেই গ্রামীণ সংস্কৃতির মাটির বাড়ি ঘর গুলো লাল কালো কাদামাটির রঙে লেপে কুঁছে রঙিন করে তোলে গ্রামের মেয়েরা।এবং গ্রামের ছোট্ট ছেলে মেয়েরা দল বেঁধে চাঁদ দেখতে যায় ফাঁকা খেলার মাঠে।চাঁদ দেখতে পেলেই হুইহুল্লায় মাতিয়ে তুলে পাড়া গ্রামের সবখানে।শিশুরা আতশবাজি ও পটকা ফুটিয়ে জানান দেই ঈদের আগমনী বার্তা।ঈদের দিনেই শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধ মানুষের প্রতি অনেকটা কদর বেড়ে যায়।সবার জন্যে সাধ্যমত কেনাকাটা নতুন জামা কাপড় নতুন সাজে নিজেকে সুন্দর ও মলিন করে তুলে মুসলিম জাতির ঈদ আনন্দে।

এদিকে মা-বাবা সহ বড়দের কাছ থেকে ঈদের সেলামি যেন ভিন্ন স্বাদের ঈদ উৎসব।ঈদের দিনে আতর সুরমা নতুন সাজে ঈদগাহে নামাজ আদায় ও কুলাকুলি পরে কোরবানীর পশুর জবাহ্ যেন ঈদের মূল আকর্ষণ।ঠিক তার পরই মিঠাই ও লাচ্ছা সেমাই মাংস পোলাও ঠান্ডা স্পিড পানি ঈদের আনন্দ যেন দ্বিতীয় আকর্ষণ।

নামাজ শেষে ঈদের দিন বৈকাল বেলা ঘুরতে যাওয়ার পালা।এতে করে কতশত দাওয়াত পড়ে তা বন্ধু ও আত্মীয়র বাসায় দাওয়াতে রসালো দুধের সেমাই নাম না জানা বাহারি রঙের বিভিন্ন স্বাদের মিঠাই। এবং পোলাও খিচুড়ি ও বিরিয়ানি পরিবেশনে ঈদের দিনটি যেন বারবার পেতে চায় সবাই।

 

এম এ করিম/চাঁপাই প্রতিদিন

ইই

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর