কথা বলার ক্ষমতা মানুষকে আল্লাহ তাআলা এমনভাবে দান করেছেন, যা চিন্তা, অনুভূতি ও জ্ঞানের প্রকাশের অনন্য মাধ্যম। কোরআন ও হাদিসে ভাষার সঠিক ব্যবহার নিয়ে রয়েছে বহু নির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে ঈমানদাররা! আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্য-সঠিক কথা বলো। তাহলে তিনি তোমাদের আমল পরিশুদ্ধ করবেন এবং পাপ ক্ষমা করবেন।”
— (সুরা আহজাব, আয়াত: ৭০-৭১)
ইসলাম ভাষার ব্যবহারকে শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং ঈমানের অংশ হিসেবেও দেখেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা নীরব থাকে।”
— (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৪৭৫)
মুমিনের মুখে অশালীন বা কটু ভাষা শোভা পায় না। রাসুল (সা.) বলেন,
“মুমিন সে নয়, যে গালাগাল করে, অশালীন কথা বলে বা নিন্দা-অপবাদে লিপ্ত থাকে।”
— (তিরমিজি, হাদিস: ১৯৭৭)
তাবেঈ হাসান বসরি (রহ.) বলেন,
“কোনো ব্যক্তির আমানতদারি তখনই ঠিক হয়, যখন তার জিহ্বা সোজা থাকে; আর জিহ্বা তখনই সোজা হয়, যখন অন্তর সোজা থাকে।”
আরেক তাবেঈ ইউনুস ইবনে উবাইদ (রহ.) বলেন,
“যে বান্দার নামাজ ও জিহ্বা ঠিক থাকে, তার সব কিছুই ঠিক হয়ে যায়।”
বিশেষজ্ঞরা বলেন, নামাজের পর মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ। কথাবার্তার আগে ভাবা, সংযম ও সততা বজায় রাখা ঈমানের পূর্ণতার লক্ষণ।
ভাষা শুধু প্রকাশের মাধ্যম নয়—এটি ঈমান, চরিত্র ও সমাজ সংস্কারের প্রতিচ্ছবি। তাই প্রতিটি মুমিনের কর্তব্য হলো কথায় সততা, শালীনতা ও কল্যাণ বজায় রাখা।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: