[email protected] শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

রাবিতে শুরু হলো সাত দিন ব্যাপি বই মেলা

আবু বকর সৈকত

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১:২০

ছবি- আলোকিত গৌড়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসনের উদ্যোগে দ্বিতীয় বারের মতো শুরু হয়েছে 'রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বইমেলা- ২০২৫'। যা চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত। আট দিন ব্যাপী এ মেলায় দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনীগুলো অংশগ্রহণ করছে।

বৃহস্পতিবার (১১ইডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ কলা ভবন প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব এই বইমেলার উদ্বোধন করেন।

বইয়ের স্টল থেকে নীরা ইসলাম বলেন, "আমাদের স্টলটিতে আমরা মূলত মামুন লাইব্রেরি থেকে এসেছি। এখানে সব ধরনের বই পাওয়া যায় নতুন পুরাতন এবং মোটামুটি সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। গত বছর আমরা স্টল দিয়েছিলাম, বিক্রি ভালো দেখে এবারও আমরা স্টল দিয়েছি। আজকে বারোটার দিকে শুরু হলো, যেহেতু এখন শুরু হয়েছে তাই লোকজন এখনো পুরোপুরি আসা শুরু করেনি। আমাদের এখানে ইংরেজি, বাংলা ও উপন্যাসহ নানান ধরনের ধরনের বই পাওয়া যায়।"

লেখক গোপাল রায় বলেন, "আমি আশা করি যারা সাহিত্য অনুরাগী আছেন তারা অবশ্যই আসবে এবং বই পড়বে। কারণ আমরা জানি আসলে সবকিছুর উর্ধ্বেই কিন্তু বই পড়া, আশা করা যায় আমরা ভালো পাঠক পাবো। শিক্ষার্থীরা আসবে বই কিনবে, বই পড়বে। আমার এখন অবধী ২ টি বই প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে একটি হলো 'কার্বাইন কার্তুজ' এবং 'অপুস্প যতি চিহ্নের স্মৃতিকা'। এই দুটি বই-ই এখানে পাওয়া যাবে।"

মেলার উদ্ভোধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, "প্রতিবছর সারাদেশ ব্যাপী যে একুশে বইমেলা হয় এবছর মাহে রমজান ও নির্বাচনের কারনে এগিয়ে নিয়ে আসতে হয়েছে। গতবছর প্রথমবারের মতো আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উদ্যোগে বইমেলার আয়োজন করেছিলাম। এবার আমরা গতবারের চেয়ে আরো বৃহৎ পরিসরে বেশি জায়গা নিয়ে শুরু করছি। এবার শুরুতেই অনেকগুলো স্টল বসে গেছে। আমি আশা করছি এবার অত্যন্ত জমজমাট বইমেলা হবে।"

তিনি আরো বলেন, "বইমেলার উদ্দেশ্য আমরা সবাই জানি যে, বই কেনা ও বই পড়াকে উৎসাহিত করা। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রকাশনী, প্রতিষ্ঠিত লেখক, পুরাতন লেখক ও নবীন লেখকদেরকে একত্রে নিয়ে আসাও একটা বড় উদ্দেশ্য। আমি প্রত্যাশা রাখছি এই বইমেলা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক ক্যালেন্ডারের একটা অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠবে এবং বছরের পর বছর এটা চলতে থাকবে।"

উল্লেখ্য, এবারের মেলায় ৬১ টি স্টলে ৫০ টি প্রকাশনী অংশগ্রহণ করেছে।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর