চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় লং মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার রাত ১১টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ৭টি বাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে লং মার্চ করে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে শিবগঞ্জ সরকারি মডেল হাই স্কুল মাঠে জেয়াফতের কার্যক্রম শুরু হয়। শিবগঞ্জ কিরণগঞ্জ সীমান্তে লং মার্চ শেষে দুইটি গরু জবেহ করে জেয়াফত পালন করা হয়।
জেয়াফতের নেতৃত্ব থাকা আমজনতার দলের সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, মহাস্থানগড়ের শাহ সুলতান বলখী (রাঃ) হিন্দি রাজার নিপীড়নের বিরুদ্ধে গরু জবাই করেছিলেন এবং সেখানে জিয়াফত করেছিলেন। এটি আগ্রাসোনের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক সংস্কৃতি। তাই আমরা ভারতী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এই কালচার টাই সারাদেশে পালন করছি।
তিনি আরোও বলেন, গতকালকে একজন বাংলাদেশী নাগরিককে বিএসএফ সীমান্তে হত্যা করেছে। এটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করা ছেড়ে দিলে তারা আরো সুযোগ পাবে, তাই আমরা প্রতিবাদ করা ছেড়ে দেবো না। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।
যাত্রাবাড়ী জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল করিম বলেন, গত রাত ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ৭টি বাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলাম। সকাল ১০টায় শিবগঞ্জ সরকারি মডেল হাই স্কুলে এসেছি।
তিনি বলেন, সীমান্তে বার বার আগ্রাসন চালাচ্ছে ভারত। এর প্রতিবাদে আমাদের এই লং মার্চ। আমরা গরু কেটে খেয়ে ভারতকে প্রতিবাদ জানাবো। ভারত মুসলমানদের ওপর সব সময় অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। এটি আর আমরা হতে দেবো না। সেই বার্তা দিতেই আমাদের আজকের কর্মসূচি।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভারত আমাদের ওপর অনেক নির্যাতন করেছে। মুসলিমদের অধিকার গরুর মাংস খেতে পারবে। কিন্তু ভারত তা হতে দিচ্ছে না। যার কারণে আমরা দুইটি গরু জবেহ করেছি।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: