চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে আত্মকর্মসংস্থান ও স্বনির্ভর করণের লক্ষ্যে দরিদ্র অসচ্ছল পরিবারদের মাঝে সেলাই মেশিন, গবাদিপশু ও নগদ অর্থ বিতরণ এবং প্রতিবন্ধীদের পূনর্বাসনে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে সদর উপজেলার চুনাখালি এনায়েতুল্লাহ্ আলিম মাদ্রাসা মাঠে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
সেখানে অসচ্ছল পরিবারদের মাঝে সেলাই মেশিন, গবাদিপশু ও নগদ অর্থ এবং প্রতিবন্ধীদের পূনর্বাসনে হুইলচেয়ার বিতরণ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীর কার্যকারী পরিষদের সদস্য ও নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল। সেখানে আরোও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল আলীম, সেক্রেটারী আব্দুর রহমান সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, যেখানেই মানুষ বিপদে-আপদে পড়ে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান সেখানেই সবার আগে ছুটে যান। জামায়াতের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অগ্নি দুর্ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনা এবং যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জরুরি সহায়তা নিয়ে হাজির হয় আমাদের নেতাকর্মী। আমরা সমাজ সেবা দলমত ধর্ম বর্ণের উধ্বে বিবেচনা করি। জামায়াতে ইসলামী সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগরিষ্ঠের বিভাজনে বিশ্বাস করে না, জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষকে নাগরিক হিসেবে সমান দৃষ্টিতে মূল্যায়ন করে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৪ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে কাজ করে। আমরা মানুষকে আল্লাহর সত্য দ্বীনের দিকে আহ্বান জানাই। যারা এই আহ্বানে এগিয়ে আসে আমরা তাদেরকে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের দেওয়ার উপযোগী করে তুলতে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। আমাদের তৃতীয় দফা কর্মসূচি হচ্ছে সমাজ সংস্কার ও সমাজ সেবা করা। জামায়াতে ইসলামীর চতুর্থ দফা কর্মসূচি হচ্ছে, অসৎ, দুর্নীতি পরায়ন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সৎ, যোগ্য ও আদর্শ নেতৃত্ব তৈরি করা। নৈতিক উন্নতি ও দক্ষ নেতৃত্ব গঠনে আমরা, আমাদের নেতাকর্মীদের গড়ে তুলি। আমাদের দলের আমীর শহীদ মতিউর রহমান নিজামী এবং সেক্রেটারী জেনারেল শহীদ আলী আহসান মুজাহিদ ৩টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তাদের দ্বারা রাষ্ট্রের এক পয়সাও দুর্নীতি কিংবা লুটপাট হয়নি। এমনকি নিজ দলের কোন নেতাকর্মীও দুর্নীতি কিংবা লুটপাট করেনি। আত্মীয়করণ কিংবা দলীয়করণ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে নাই। জামায়াতে ইসলামী দায়িত্বকে জনগণের আমানত মনে করে। তাই জনগণ জামায়াতে ইসলামীর হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিলে জামায়াতে ইসলামী জনগণকে তাদের প্রত্যাশিত বৈষম্যহীন একটি আদর্শ কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দিবে।
আলোকিত গৌড়/জে.আর
মন্তব্য করুন: