চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে রেলপথ অবরোধ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চারটি আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

বুধবার (১৪ মে) সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ১১টা পর্যন্ত ‘সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ এর ব্যানারে এই অবরোধ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় অবরোধকারীরা বলেন, বর্তমানে পদ্মা, সিল্কসিটি, ধূমকেতু ও মধুমতি নামের ৪টি আন্তঃনগর ট্রেন রাজশাহী থেকে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে। দীর্ঘদিন ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী এই ট্রেনগুলোর যাত্রাপথ রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবি জানিয়ে আসছেন।

এই দাবির ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনে রেলপথ অবরোধ করেন জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। অবরোধ চলাকালে মল্লিকা কমিউটার ট্রেনটি আটকে দেন আন্দোলনকারীরা।

সুজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন জুয়েল বলেন, “চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সব আন্তঃনগর ট্রেন চালু হওয়া আমাদের প্রাণের দাবি। আজকের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সেই দাবিরই অংশ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী নুরে আলম সিদ্দিকী আসাদ বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সর্ব পশ্চিমের একটি জেলা এখানে প্রায় ১৮ থেকে ২০ লক্ষ মানুষের বসবাস রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের জন্য শুধুমাত্র একটি ট্রেন (বনলতা এক্সপ্রেস) রাখা হয়েছে এবং সেই ট্রেনের সিট বন্টনেও আমাদের সাথে বৈষম্য করা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাচ্ছি, রাজশাহী থেকে ঢাকা গামী যে চারটি ট্রেন রয়েছে তার সবগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যাত্রা শুরু করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

অবরোধের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী গামী মল্লিকা কমিউটার ট্রেনটি নির্ধারিত সময় ১০টা ১৫ মিনিটের পরিবর্তে ১১ টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন ত্যাগ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল্লাহ জানান, আগেও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে এবং বুধবারের কর্মসূচির সময়ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

অবরোধ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি খাইরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুখলেসুর রহমান, সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর হাফেজ আব্দুল আলীম, পৌর আমীর হাফেজ গোলাম রাব্বানী এবং বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অংশগ্রহণকারীরা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি সরকার যথাযথ দৃষ্টি না দিলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।