চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের চাকলা গ্রামে শ্বশুর-শাশুড়ির নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন জিয়াসমিন (৩২) নামের এক গৃহবধূ। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত জিয়াসমিন চাকলা গ্রামের আতিকুল ইসলামের স্ত্রী ও মির্জাপুর গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিন জুমুর কন্যা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুর আলহাজ্ব সাইদুর রহমান মিয়া (৭০) ও শাশুড়ি আলহাজ্ব আয়েশা বেগম মিলে পুত্রবধূ জিয়াসমিনকে বেধড়ক মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে জিয়াসমিন জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাঁরা তাঁকে মৃত ভেবে পালিয়ে যান বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জিয়াসমিনের পরিবারের অভিযোগ, বিগত ২০ বছর ধরে নানা কারণে শ্বশুর-শাশুড়ির হাতে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশি বৈঠক হলেও নির্যাতন থামেনি।
এ ঘটনায় গ্রামে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “দুইজন হজ করে এসে যদি মানুষ না হন, তাহলে তা সমাজের জন্য লজ্জাজনক। একজন নারীর প্রতি এমন আচরণের কোনো অধিকার তাঁদের নেই।” তাঁরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
ঘটনার পর অভিযুক্ত শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া জানান, “এটি একটি পারিবারিক কলহ থেকে ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এক পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, অন্য পক্ষও অভিযোগ দিতে পারে। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
আলোকিত গৌড়/এম.আর
মন্তব্য করুন: