চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইয়ামিন হাসান শুভ নামে এক ছাত্রলীগ নেতা প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিরুপ মন্তব্য করেছেন। গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ইয়ামিন হাসান শুভ তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে এই মন্তব্য করেন।
ইয়ামিন হাসান শুভ’র বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারোঘরিয়া ইউনিয়নে। তার পিতার নাম জান মোহাম্মদ। এছাড়া তিনি বারোঘরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ছাত্রলীগের দাপটে চাঁদাবাজি ও এলাকার মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতেন ছাত্রলীগের এই নেতা। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল এলাকাবাসী। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে গা ঢাকা দেন শুভ। পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক সাংবাদিকের আশ্রয়ে ও প্রশ্রয়ে নাম সর্বস্ব একটি আইডি কার্ড নিয়ে আবারোও এলাকায় ফিয়ে শুভ। তারপর আবারোও শুরু করে চাঁদাবাজি, মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ ও থানার দালালি।
খোঁজ নিয়ে আরোও জানা যায়, সেই সাংবাদিকের গাড়িতে করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে যেতে থাকেন তিনি। বিভিন্ন দপ্তর থেকে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সংগ্রহ করে আওয়ামী লীগের মিডিয়া সেলে তথ্য পাচার করতে থাকেন।
পরবর্তীতে গত ১৭ জুলাই এনসিপির নেতাকর্মীর উপর নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন হামলা করলে শেখ হাসিনা আবারোও ফিরে আসবে এই আশায় তার পুর্ব পরিচিত রুপে ফিরে যান তিনি এবং সেইদিনই প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের অংহকারের প্রতীক সেনাবাহিনীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরুপ মন্তব্য করে এই ছাত্রলীগের নেতা শুভ। বিরুপ মন্তব্যের জেরে প্রশাসন তার বিষয়ে খোঁজ নিলে তিনি আবারোও গা ঢাকা দেন এবং তার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ বিরুধী অপকর্মে লিপ্ত হন।
এই বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য এর পর থেকেই তাকে খোঁজা হচ্ছে। কিন্ত সে এলাকাতে নাই পলাতক অবস্থায় আছেন। তাকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
আলোকিত গৌড়/এম.আর
মন্তব্য করুন: