[email protected] রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫
১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহিলা জামায়াতের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত


প্রকাশিত: ২ আগষ্ট ২০২৫, ২২:১৬

ছবিঃ আলোকিত গৌড়

চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহিলা জামায়াতের উদ্যোগে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছ।

শনিবার (২ আগস্ট) বিকাল ৩ টায় শহরের টাউন ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী অঞ্চল পরিচালিকা ও ইসলামিয়া কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপিকা মুহতারামা সাবরিনা সারমিন বনি।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “৩৬ জুলাই-এর গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। এই আন্দোলন শুধু সরকারের বিরুদ্ধে নয়, এটি ছিল দেশের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। প্রতিটি শহীদের রক্ত ও মা-বোনদের আত্মত্যাগ আমাদেরকে প্রেরণা জোগায় এবং ইসলামের পতাকা বাংলার আকাশে উড়ানোর সংগ্রামে অবিচল রাখে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের শতশত বোনেরা নির্যাতিত হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন, মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, এসব কিছুই আমাদের ঈমানকে আরও মজবুত করেছে। সংসার থেকে সংসদ—সব জায়গাতেই আমরা ইসলাম প্রতিষ্ঠা চাই। এখনো ক্ষমতায় যাবার সময় আসেনি, আগে দেশকে আদর্শিকভাবে সংস্কার করতে হবে, তারপরে নির্বাচন।”

বক্তব্যের শেষে তিনি সরকারের প্রতি চারটি দাবি উত্থাপন করেন: ১. জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিয়ে একটি ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন করতে হবে। ২. বর্তমান সংবিধান সংস্কার করতে হবে। ৩. শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। ৪. আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা সরকারিভাবে করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি মুহতারামা নিলুফা খাতুন বেলি, অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাহিদা আক্তার নুরানি ও তহমিনা খাতুন।

এইসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুহতারামা আয়েশা হাসিন, সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি মুহতারামা আনজুমান আরা।

আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও শহীদদের স্মরণে একটি চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শতাধিক নারী সদস্য অংশগ্রহণ করেন।

আলোকিত গৌড়/এম.আর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর