রানীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ

প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও বিশৃংখলার অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সভাপতি আবদুর রহিম বাবুর বিরুদ্ধে অফিস কক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপর হামলা ও হুমকির অভিযোগ এনে তার বিচারের দাবিও করেন তারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রানীনগর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও বিশৃংখলার অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল-মানববন্ধন করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের ব্যানারে প্রতিষ্ঠানটির মূল ফটকের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষ করে পুনরায় সেখানে গিয়ে মানববন্ধনে মিলিত হয়।

প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুল জাব্বার, সহকারী শিক্ষক কামাল উদ্দিন, ওহাব আলী, রিপনন্নাহার, বিশারত আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আল বশরী সোহানসহ বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলেন, বিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে শিক্ষার্থীরা বের হলে ইভটিজিংয়ের শিকার হলেও ব্যবস্থা নেয়নি প্রধান শিক্ষক। এমনকি বিদ্যালয়ের বাগান, জমি, দোকানঘর, ও হাটবাজারের টেন্ডারের বিষয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না তিনি। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও বিশৃংখলার অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সভাপতি আবদুর রহিম বাবুর বিরুদ্ধে অফিস কক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপর হামলা ও হুমকির অভিযোগ এনে তার বিচারের দাবিও করেন তারা।

এদিকে, মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল সহ উপজেলা চত্বরে এসে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগপত্র তুলে দেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সহকারী শিক্ষক, এলাকাবাসী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রধান শিক্ষক অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, সেগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। জোর করে দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম বাবুর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোন ধরেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান আল-ইমরান জানান, ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।