শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমা নামাজের পর শহরের শান্তিমোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্বরোড মোড়ে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
বিক্ষোভ চলাকালে ছাত্রনেতারা শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা আইন উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন।
বক্তারা বলেন, শরীফ ওসমান হাদি ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিলেন। যারা মনে করছে তাকে হত্যা করে আর কেউ কথা বলবে না, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। তারা বলেন, “এক হাদিকে হত্যা করা হয়েছে, এখন লক্ষ হাদি সামনে আসবে।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বক্তারা বলেন, এই সময়ের মধ্যেই হাদির হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি আইন উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে।
আইন উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বক্তারা আরও বলেন, “আপনি সেই উপদেষ্টা, যিনি পিস্তল মামলার এক আসামিকে মাত্র তিন মাসে জামিন করিয়েছেন। পরে সেই ব্যক্তি আমাদের ভাই হাদিকে গুলি করে শহীদ করেছে। উপদেষ্টা পদে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার আপনার নেই।”
বিক্ষোভে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতের শত-শত মানুষ অংশ নেন। এসময় তারা ‘ফ্যাসিবাদের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা এই বাংলায় হবে না’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাবো’ সহ বিভিন্ন স্লোগানের দেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে ছাত্র-জনতার মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক শরীফ ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গণসংযোগকালে চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন। প্রথমে ঢাকায় এবং পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা চলাকালে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: