গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে উসমান আলী খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম এবং হরিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মতিনকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরো চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
সোমবার (১ জুলাই) রাতে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজলার নামো সুন্দরপুর এলাকার মো. আখতারুজ্জামান ওরফে ফুটু হুজুরের ছেলে মো. উসমান আলী, আবুল হোসেনের ছেলে মো. বাবুল ওরফে বাবু ঝাপড়া, মৃত কাবির রহমানের ছেলে মো. রুহুল আমিন এবং মো. তাবজুর হোসেনের ছেলে আব্দুল মান্নান।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকেই তদন্ত শুরু করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তার পরিপ্রেক্ষিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে উসমান আলী খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
গত ২৭ জুন রাতে শিবগঞ্জের রানীহাটি কলেজ মোড় সংলগ্ন আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার গুচ্ছগ্রামে গুলি করে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম ও মতিন মাস্টারকে। এই সময় আরও একজন আহত হন।
উল্লেখ্য, আলোচিত চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন মামলার ঘটনায় বিএনপি নেতাসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহত জেলা পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালামের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম। এছাড়া এর আগে প্রধান আসামি আশরাফুল হকের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ওরফে আম্বিয়া এবং ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল হককে গ্রেপ্তার করে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: