বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর শাখার উদ্যোগে আন্ত:থানা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২১ নভেম্বর) সকালে শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে দুইটি সেমিফাইনাল এবং পরে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর শিবিরের সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর মো: নূরুল ইসলাম বুলবুল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আমীর হাফেজ গোলাম রাব্বানী, শিবিরের সাবেক শহর সভাপতি শফিক এনায়েতুল্লাহ, আবু তালেবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রাধান অতিথির বক্তব্য নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের ক্যাম্পাসে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে আমরা সকল ছাত্রদের সাথে নিয়ে অংশগ্রহণ করেছি এবং ছাত্রদের সাথে নিয়ে আমি সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি।
তিনি আরোও বলেন, এমন একটা সময় ছিলো যেখানে আমরা দাওয়াতী কাজ করার সুযোগ পায়নি। ইসলামী ছাত্রশিবির দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ এই ক্যাম্পাসে কাজ করতে পারে নাই। রাজনীতিতে জুলুম করে কাউকে কখনোও দাবিয়ে রাখতে পারে নাই। ছাত্রশিবির রাসুল (সাঃ) এর আদর্শ লালন করে। শত যুলুম নির্যাতনের পরেও ছাত্রশিবির এই দেশের সকল ছাত্রদের কাছে প্রিয় একটি ছাত্র সংগঠন।
জামায়াত নেতা নুরুল ইসলাম বুলবুল আরোও বলেন, আমি ভিপি হবার পর শিক্ষকদের সহযোগিতায় এই কলেজে অনার্সের ৪টি সাবজেক্ট নিয়ে এসেছি। নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজের তেমন কোন অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন হয় নাই। ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই মিলে এই নবাবগঞ্জ কলেজকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সড়ক, রেল এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য সকলকে আহ্বান জানান তিনি।
সর্বশেষ তিনি চব্বিশের জুলাই অভ্যূত্থান ও ছাত্র আন্দোলনে শিবিরের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি নতুন বাংলাদেশের জন্য সংগ্রামে শহীদ ও আহত হওয়া সকলের জন্য দোয়া করেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ তরুণ ছাত্রসমাজের শারিরীক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা ও শরীরচর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ফাইনাল খেলায় হেফজুল মাদ্রাসা থানা শাখা বনাম পৌর পূর্ব থানা শাখা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্ধারিত সময়ে ০-০ গোলে ড্র হলে টাইবেকারে ৩-২ গোলের ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন হয় পৌর পূর্ব থানা শাখা।
এই আন্ত:থানা ফুটবল টুর্নামেন্টে মোট ১৪টি দল অংশগ্রহণ করে।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: