[email protected] রবিবার, ১ জুন ২০২৫
১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জবির আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন সাবেক শিক্ষার্থীরাও

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২৫, ১৫:১৪

সংগৃহিত ছবি

তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৬ মে) কাকরাইল মোড়ে ‘শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের যৌক্তিক আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ’ ব্যানারে তারা এ আন্দোলনে যোগ দেন।

সমাবেশে বক্তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দমন করার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। সাবেক শিক্ষার্থী ত্রিদিব সাহা বলেন, “আমাদের ছাত্র সমাজের ওপর উপদেষ্টার হুমকি আমরা মেনে নিতে পারি না। আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা রক্ত দিয়েছে এই রাষ্ট্রের জন্য। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না।” তিনি আরও বলেন, “দাবি মানা না হলে যারা এখন ক্ষমতায় আছে, ভবিষ্যতে তারাও জনগণের প্রতিরোধের মুখোমুখি হবে।”

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. জহিরুল ইসলাম শিকদার, কার্যকরী সভাপতি আলতাফ হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ সজল এবং অ্যাডভোকেট মহসীন বিশ্বাসসহ আরও অনেকে।

এর আগে, গত ১৩ মে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল তিন দফা দাবি উপস্থাপন করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-তে গিয়েছিলেন। তবে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে শিক্ষার্থীরা ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ‘জুলাই ঐক্য’ নামের একটি ছাত্রসংগঠন এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেয়।

লংমার্চ চলাকালীন গত বুধবার (১৪ মে) কাকরাইল মসজিদ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ঘটে। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ করলে বেশ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

আহত শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি ড. মো. রইছ উদ্দিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানেই থাকবো।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, “আমার সহকর্মী এবং শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ অমানবিক আচরণ করেছে। এর সুষ্ঠু বিচার না হলে আমরা সরে যাব না।”

আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি:
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫–২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট ছাড়াই অনুমোদন করতে হবে।
৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবস্থান কর্মসূচি ও আন্দোলন চলবে।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর