[email protected] রবিবার, ১ জুন ২০২৫
১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সিরাজগঞ্জের ‘চাঁদা চাইতে গিয়ে’ গণপিটুনির শিকার ৩ নেতা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৫, ১০:১৬
আপডেট: ১৭ মে ২০২৫ ১০:০৫

সংগৃহিত ছবি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের নৈইপাড়া এলাকায় পুকুর খননকারীর কাছে চাঁদা চাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

এ সময় যুবদল ও কৃষক দলের তিন নেতাকে বিক্ষুব্ধ জনতা আটকে রেখে গণপিটুনি দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাটি শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে ঘটে। 

সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের থানায় হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নৈইপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তির পুকুর খননের সময় যুবদল ও কৃষক দলের কয়েকজন নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হয়ে চাঁদা দাবি করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরিস্থিতি ঘনীভূত হলে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী যুবদল ও কৃষক দলের তিন নেতাকে আটকে ফেলে এবং তাদের মারধর শুরু করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাদের মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করে। 

আহতদের মধ্যে রয়েছেন সলঙ্গা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন, সদস্য রোকনুজ্জামান এবং কৃষক দলের সদস্য সচিব সোবহান আলী। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে viral হয়, যাতে দেখা যায় একদল নারী-পুরুষ নেতাদের ঘিরে ধরে শারীরিক আক্রমণ করছেন। 

ধুবিল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম হাবু দাবি করেন, "আমাদের নেতাকর্মীদের পূর্বপরিকল্পিতভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। তারা পুকুর খননের অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন, চাঁদা নিতে যাননি।" অন্যদিকে, সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সরকার বলেন, "পুকুর খনন আইনবহির্ভূত। এতে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাই আমাদের কর্মীরা কাজ বন্ধের দাবি তুলেছিলেন।" 

তবে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকার ঘটনার বিস্তারিত না জানার কথা বলে পরে বক্তব্য দেওয়ার আশ্বাস দেন। 

ওসি হুমায়ুন কবির জানান, "পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে। কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" 

স্থানীয়রা জানান, পুকুর খনন ও মাটি পরিবহন নিয়ে পূর্ব থেকেই উত্তেজনা ছিল, যা এই ঘটনায় প্রকাশ পেয়েছে।

আলোকিত গৌড়/এম.আর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর