বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

খুলনায় নারী সংস্কার কমিশনের জমা দেওয়া প্রস্তাবনার তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। বক্তাদের দাবি, কমিশনের অন্তত ১০টি প্রস্তাব সরাসরি কুরআনের বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। তারা এটিকে "পতিত ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারী গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের দলিল" বলে আখ্যায়িত করে কেবল প্রস্তাবনা বাতিলই নয়, পুরো নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বিলুপ্তির দাবি জানান।

রবিবার (১৭ মে) বিকেলে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে খুলনা মহিলা ফোরামের আয়োজনে এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা তুলে ধরেন। তাদের মতে, কমিশনের বেশকিছু সুপারিশ বাংলাদেশের সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে সাংঘাতিক, যা রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করবে। এ প্রস্তাবনা "সমাজ বনাম রাষ্ট্র" এবং "ধর্ম বনাম নারী"কে দাঁড় করছে বলে তারা মন্তব্য করেন।

বক্তারা আরও বলেন, কমিশনের প্রতিবেদনে বারবার ধর্মকে নারী বৈষম্যের মূল কারণ হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে, যা দেশের সচেতন নারীসমাজ প্রত্যাখ্যান করেছে। ১৭টি অধ্যায়ে ৪৩৩টি সুপারিশসংবলিত ৩০০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনকে তারা "নারী সমতা ও ক্ষমতায়নের নামে বিভ্রান্তিকর" বলে উল্লেখ করেন। তাদের মতে, এতে নারীদের পুরুষের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছে এবং জাতিকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

খুলনা মহিলা ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখিয়া বেগমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব ফাতমা হক লাকি। এতে আরও বক্তব্য রাখেন ডাক্তার রুখসানা সুলতানা, ফাতিমা বেগম, নাজমুন্নেসা, সাইয়েদা নাসরিন সুলতানা রোজী, রেবেকা সুলতানা, সালমা আতিকা, শাহানারা বেগম, দোররোশ শাহার লাকি, নাসরিন জামান ও সাহিদা খাতুন প্রমুখ।

তাদের অভিযোগ, এই কমিশনে সমাজের সকল স্তর ও পেশার নারীদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নেই। তারা দাবি করেন, নারী উন্নয়নের নামে এমন বিভেদ সৃষ্টিকারী প্রস্তাবনা জাতির ঐক্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।