লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার তিনটি সীমান্ত পয়েন্টে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশে নয়জন ব্যক্তিকে জোরপূর্বক প্রবেশ করানোর ('পুশইন') চেষ্টা চালিয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে বাংলাদেশের ভেতরে পাঠানো সম্ভব হলেও, বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ও স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিরোধের মুখে বাকি ছয়জনকে সীমান্তরেখায় আটক করতে বাধ্য হয় বিএসএফ।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে হাতীবান্ধা উপজেলার বনচৌকি সীমান্তে। সেখানে বিএসএফ তিনজন ব্যক্তিকে বাংলাদেশের ভেতরে পাঠায়। পরে স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাদের আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেয়।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া সীমান্তে। সেখানে বিএসএফ ছয়জন (পাঁচ পুরুষ ও এক নারী) ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করে। তবে বিজিবি ও স্থানীয়দের দৃঢ় প্রতিরোধের কারণে তারা সীমান্তরেখাতেই আটকে থাকেন।
বিজিবির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আটককৃত ব্যক্তিরা ভারতের বিভিন্ন চা বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভারতীয় নাগরিক, আবার কেউ বাংলাদেশি বলে দাবি করছেন।
বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, আটককৃতদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে। প্রক্রিয়া শেষে তাদের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বিএসএফের এই কর্মকাণ্ডকে অবৈধ ও আইনবহির্ভূত বলে উল্লেখ করেন। এ নিয়ে পূর্বেও পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
এই ঘটনার পর সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিজিবি উচ্চপর্যায়কে বিষয়টি জানিয়েছে এবং কূটনৈতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এ ঘটনা বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ দাবি করেছেন।
আলোকিত গৌড়/এম.আর
মন্তব্য করুন: