[email protected] শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২

রাজশাহীতে চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরি, নারী গ্রেপ্তার

মো: ইয়াজ উদ্দীন আহম্মেদ

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২৫, ২৩:৫১

সংগৃহিত ছবি

রাজশাহীর রায়পাড়া এলাকায় চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরির ঘটনায় মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার সাবেরা খাতুন ওরফে সম্পা (২৫) লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মমিনুল ইসলামের মেয়ে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন রায়পাড়া এলাকার বাসিন্দা মো: সেলিম রেজার স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ছয় মাস আগে পরিচয় হয় সাবেরা খাতুনের। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুলাই বিকেলে সাবেরা তাদের বাসায় বেড়াতে এসে রান্নার কাজে সহায়তার কথা বলে পরিবারের সদস্যদের জন্য রান্না করেন। সে সময় তিনি মুরগির মাংস ও স্যালাইনের মধ্যে চেতনানাশক মিশিয়ে তাদের সবাইকে অচেতন করে ফেলেন।

পরিবারের সদস্যরা অচেতন হওয়ার পর, সাবেরা সেলিমের স্ত্রীর শরীরে থাকা প্রায় আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ৪৮ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা জ্ঞান ফেরার পর বিষয়টি বুঝতে পেরে সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে তারা কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে নিয়মিত একটি মামলা করা হয়।

কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি আজিজুল বারী ইবনে জলিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসআই নূর মোহাম্মদ সরদার ও তার নেতৃত্বাধীন টিম তদন্ত ও আসামি গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান চালিয়ে যায়।

অবশেষে, বুধবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী সেলিম নগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন মেহেরচন্ডি করইতলা মোড় এলাকায় একটি বাসায় আসামি সাবেরাকে দেখতে পান এবং তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দেন। পরে কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাবেরা খাতুন চেতনানাশক প্রয়োগ করে চুরির ঘটনা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ২–৩ জন সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রতারণামূলক এসব কাজ করে আসছিলেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আজ বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আলোকিত গৌড়/এম.আর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর