আমার বাবা গতকাল রাতে কল দিয়ে বলে আমাকে তুই এসে নিয়ে যা। আমাকে ওরা মেরে ফেলবে। এরপর থেকে বাবার মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। আজ শুক্রবার সকলে জানতে পারি আমার বাবার লাশ হাসপাতালে।
শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন জাকির আকন নামের এক যুবক।
শুক্রবার সকালে আমতলী উপজেলার পুজাখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জাকির আকন আমতলী উপজেলার বৈঠাকাটা গ্রামের মৃত্যু আব্দুল গনি আকনের ছেলে।
জানা গেছে, চার বছর আগে জাকির আকন পুজাখোলা গ্রামের আনোয়ার ব্যাপারীর মেয়ে সোনিয়া বেগমকে বিয়ে করেন। সোনিয়া তার তৃতীয় স্ত্রী। এর আগে সোমবার জাকির আকন শ্বশুর আনোয়ার ব্যপারীর বাড়িতে বেড়াতে যান। তবে, স্ত্রী সোনিয়া বেগমের দাবি তার স্বামী জাকির বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হন। এরপর তার কোন খোজ মিলেনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুর বাড়ির পাশে বীজ ক্ষেতে স্থানীয়রা তাকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তার শ্বশুর আনোয়ার ব্যাপারী জামাতাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: মনিরুজ্জামান খাঁন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জাকির আকনের ছেলে রাকিব আকনের অভিযোগ, তার বাবাকে তার সৎ মা সোনিয়া বেগম ও তার বাবার বাড়ির লোকজন হত্যা করে মাঠে ফেলে রেখেছে।’
রাকিব আকন বলেন, ‘আমার বাবা গতকাল রাতে কল দিয়ে বলে আমাকে তুই এসে নিয়ে যা। আমাকে ওরা মেরে ফেলবে। এরপর থেকে বাবার মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। আজ শুক্রবার সকলে জানতে পারি আমার বাবার লাশ হাসপাতালে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার বাবাকে আমার সৎ মা ও তার বাবার বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
স্ত্রী সোনিয়া বেগমের দাবি, ‘আমার স্বামী জাকির আকন বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে আমার বাবার বাড়ি থেকে চলে যায়। এরপর কী হয়েছে আমি জানি না। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা জানান আমার স্বামী বীজ ক্ষেতে পড়ে আছে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘জাকির আকন নামের একজনের লাশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এ ঘটনার থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: