রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই-৩৬ আবাসিক হলে রাত ১১টার পর প্রবেশ করায় ৯১ ছাত্রীকে প্রাধ্যক্ষের অফিসে ডেকে পাঠায় হল প্রশাসন। এ ঘটনায় তৈরি করা একটি ফটোকার্ডের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখ্দুম হল শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি আনিসুর রহমান মিলন মন্তব্য করেন, “এগুলো ছাত্রী নয়, এগুলো বিনা পারিশ্রমিক যৌনকর্মী।” তার এ অশালীন মন্তব্য ক্যাম্পাসজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
আনিসুর রহমান মিলন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তিনি তার ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেন।
২ সেপ্টেম্বর রাতে হল প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেরিতে হলে ফেরার কারণে সংশ্লিষ্ট ছাত্রীদের প্রাধ্যক্ষের অফিসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে সংবাদ প্রকাশের সময় তৈরি করা ফটোকার্ডেই মন্তব্যটি করেন মিলন।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, নারীদের নিয়ে বাজে মন্তব্যের অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখছি। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে অবমাননাকর কোনো বক্তব্য করা হলে বিষয়টি সিরিয়াসভাবে দেখা হবে। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মেনে নেবে না। কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য যারই হোক, তাকে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: