পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রামে আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম মিলাদ আয়োজন— ৫৪তম জশনে জুলুস। আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে এ মহাসমাবেশে লাখো মুসল্লির ঢল নেমেছে।
গত বছরের মতো এবারও জশনে জুলুসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দরবারে সিরিকোটের সাজ্জাদানশীন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মা.জি.আ.)। তার সঙ্গে রয়েছেন সৈয়দ মুহাম্মদ তাহির শাহর (মা.জি.আ.) সন্তান সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ ও সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহর (মা.জি.আ.) সন্তান সৈয়দ মেহমুদ আহমদ শাহ।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মুরাদপুরস্থ জামিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার মাঠে লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ। নামাজ ও দোয়ায় বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, ভ্রাতৃত্ব, দেশের অগ্রগতি ও মানবতার মুক্তির জন্য মোনাজাত করা হয়।
পরে খানকা শরিফে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্ম শুধু মুসলিম জাতির জন্য নয়; বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য রহমত। আমরা তার স্মৃতি ধরে রাখতে এবং উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করতে এ জশনে জুলুস আয়োজন করি।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ মনজুর আলম মঞ্জু, সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক আক্তার পারভেজ সোহেল, অ্যাডভোকেট মোসাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলালসহ অন্য নেতারা।
আজ সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম ষোলশহরের আলমগীর খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে জুলুস। শোভাযাত্রাটি বিবিরহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর, ২ নম্বর গেট, জিইসি মোড় ঘুরে ফের ২ নম্বর গেট হয়ে ষোলশহর-মুরাদপুর-বিবিরহাট অতিক্রম করে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন জুলুস ময়দানে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ দোয়া মাহফিল।
এ আয়োজনে ড্রামসেট প্রবেশ, খাদ্যদ্রব্য নিক্ষেপ ও নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি হাজারো স্বেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করছেন।
মিডিয়া কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল বলেন, “আজ লাখো নয়, কোটি মানুষের সমাগম হবে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ আয়োজনে মুসল্লিদের নির্বিঘ্ন অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।”
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: