আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট নির্বাচন তারিখ বন্ধ ঘোষণা করা হলেও শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী পূর্ণদিবস কর্মবিরতির তৃতীয় দিন চলছে কম্পিলিট শাটডাউন।
মঙ্গলবার (২৩সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পাশে এই কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এসময় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা রক্ষায় তারা যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবেন। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঘটনার বিচার ও বহিষ্কার না করা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চলবে
বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. আব্দুল আলিম বলেন,বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মকর্তা-শিক্ষকদের উপর সাম্প্রতিক বর্বরোচিত হামলাকে আমরা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখি। এমন জঘন্য কর্মকাণ্ড কোনো আদর্শবান শিক্ষার্থীর কাজ হয়ে থাকতে পারে না। যাঁরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা এবং ছাত্রত্ব বাতিলসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছিযে,দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন। যদি বিচার নিশ্চিত না করতে পারেন তাহলে শাটডাউন চলমান থাকবে।
অফিসার্স সমিতির সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন,উপ-উপাচার্য মহোদয় ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দের উপর যে ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে, তেমন নিদর্শন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আগে দেখা যায়নি। যারা এ কার্যকলাপে জড়িত, তাদের ছাত্রত্ব অবিলম্বে বাতিল করা হোক এবং তারা প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করুক। আমরা প্রশাসনের দ্রুত ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়া চালানোর দাবি জানাই। যদি তা না হয়, আমাদের লাগাতার কর্মবিরতি চলবে ।
উল্লেখ্য যে,এ কর্মবিরতি পালন করার সময় প্রায় দুইশত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: