জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন-২০২৫ ঘিরে অনিয়ম ও অসঙ্গতির ১২টি অভিযোগ তুলে ধরেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল।
মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ উত্থাপন করেন প্যানেলটির নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভিপি পদপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান, জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী, এজিএস (নারী) পদপ্রার্থী আঞ্জুমান আরা ইকরা ও এজিএস (পুরুষ) পদপ্রার্থী মো. সাজ্জাদুল ইসলামসহ অন্যান্য প্রার্থীরা।
তারা বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অব্যবস্থাপনা, কারচুপি, সমন্বয়হীনতা, মিসইনফরমেশন ও ডিজইনফরমেশনের ছড়াছড়ি ছিল। একটি প্যানেল ও কিছু ব্যক্তিকে জয়ী করার জন্য পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে ‘প্রহসনে’ পরিণত করা হয়েছে।
উত্থাপিত ১২টি অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও অমার্জনীয় কালি না থাকায় জালভোটের সুযোগ তৈরি।
ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স কেন্দ্রে পাঠানো ও ভোটারের সংখ্যার চাইতে বেশি ব্যালট পেপার সরবরাহ।
একটি নির্দিষ্ট দলের সমর্থক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যালট পেপার মুদ্রণ ও অতিরিক্ত ব্যালট ছাপানো।
বিভিন্ন হলে প্রকাশ্যে জালভোট প্রদান, লিফলেট রাখা ও প্রভোস্টদের প্রত্যক্ষ পক্ষপাতিত্ব।
অধিকাংশ পোলিং অফিসারের নির্বাচন আচরণবিধি সম্পর্কে অজ্ঞতা।
এজেন্ট প্রবেশে টালবাহানা ও নির্দিষ্ট প্যানেলের এজেন্টদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া।
কয়েকটি হলে ঘোষিত ভোটের সংখ্যা প্রকৃত ভোটারের চেয়ে বেশি হওয়া।
ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নাম না থাকা, হাতে লিখে ভোট দিতে বাধ্য করা।
বহিরাগত ক্যাডারদের উপস্থিতি ও ক্যাম্পাস অবরুদ্ধ করা।
নির্ধারিত সময়ের বাইরে ভোটগ্রহণ ও ভোট গণনায় অসঙ্গতি।
অনেকের ভোট অন্যরা দিয়ে ফেলা ও পোলিং অফিসারের মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার।
ভোটার তালিকা ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ না দিয়ে কালক্ষেপণ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত সত্য উন্মোচনের দাবি জানান।
এর আগে নির্বাচনের দিন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করলেও, পরবর্তীতে হল সংসদে বিজয়ী প্রার্থীদের অনেকে শপথ গ্রহণ করেছেন। তবে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ছিল শপথ না নেওয়ার। এ নিয়ে ছাত্রসমাজের একাংশ মনে করছে, ছাত্রদলের অবস্থান দ্বিচারিতার পরিচায়ক।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: